পিয়ালী দাস, বীরভূমঃ আজ কৌশিকী অমাবস্যা। এই বিশেষ তিথি উপলক্ষ্যে তারা মায়ের বিশেষ নিশি পূজা আয়োজিত হয়। মহাভোগ ও মহা রাজবেশ সহকারে মায়ের এই পূজা অনুষ্ঠিত হয়। তারাপীঠের মহাশ্মশানে এই পূণ্য তিথিতে তন্ত্রসাধনা হয়ে থাকে। এই অমাবস্যা গোটা ব্রহ্মাণ্ডে দশ মহাবিদ্যার দ্বিতীয় মহাবিদ্যা। এদিন ‘তারা দেবী’কে ‘মহাকালী’ রূপে আহ্বান করা হয়। কথিত আছে, এই দিনেই নাকি সাধক শ্রেষ্ঠ বামাক্ষ্যাপা তাঁর ‘বড় মা’ অর্থাৎ ‘তারা দেবী’র দর্শন পেয়ে সিদ্ধিলাভ করেন। বলা হয়, এই দিনে কোনও ভক্ত ‘তারা দেবী’কে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করলে তার মনঃস্কামনা পূর্ণ হয়।
উল্লেখ্য, প্রতিবছরই আজকের দিনে বীরভূমের তারাপীঠ মন্দিরেও ‘মহাকালী’র আহ্বান করা হয়। শুধু হিন্দু মতে নয়, বৌদ্ধ মতেও তন্ত্র সাধনার জন্য এই দিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শাস্ত্রজ্ঞরা বলেন, কৌশিকী অমাবস্যার রাতে ধনাত্মক ও ঋণাত্মক শক্তিকে সাধনার মাধ্যমে তান্ত্রিকরা ধারণ করে থাকেন। যে সাধনার ফলে বলা হয়, আশাতীত ফল লাভ করেন তন্ত্রসাধকরা।
মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখ্যোপাধ্যায় জানান, মার্কেণ্ডেয় পুরাণ অনুযায়ী শুম্ভ-নিশুম্ভকে বধের জন্য ‘দেবী দুর্গা’ যখন ক্রোধান্বিত হন তখন তাঁর ভ্রূকুটি যুগল থেকে ‘কৌশিকী দেবী’ আবির্ভূতা হন এবং অসুর ভাতৃদ্বয় শুম্ভ ও নিশুম্ভকে বধ করেন। সেই থেকেই এই কৌশিকী দেবী ‘কালী’ তথা ‘মহাকালী’ রূপে পূজিতা হন। হিন্দু ধর্ম মতে এই অমাবস্যা তিথি নক্ষত্রেই কৌশিকী দেবী আবির্ভূতা হন। আর সেই কারণেই এই অমাবস্যা তিথি নক্ষত্রের নামকরণ হয় কৌশিকী অমাবস্যা।