সুভাষ বাবুর প্রায় ২১ বছরের শিক্ষকতা জীবনের শুরু হয়েছিল কাঁকসার অযোধ্যা হাইস্কুল থেকে। প্রায় ১০ বছর সেখানে শিক্ষকতা করার পর তিনি চলে আসেন কাঞ্চননগরের এই ডি এন দাস হাইস্কুলে। বিশেষ করে সুভাষবাবুর উদ্ভাবনী কাজের জন্যই তাঁকে এই সম্মানে ভূষিত করা হচ্ছে। সুভাষবাবু জানিয়েছেন, যে কোনো মানুষের কাছেই স্বীকৃতি পাওয়া ভাল লাগারই বিষয়। তার ক্ষেত্রেও তার কোনো ব্যতিক্রম নয়।
উল্লেখ্য, ব্যক্তিগতভাবে সুভাষবাবু উদ্ভিদবিদ্যা নিয়ে একাধিক গবেষণা করেছেন। সোনাঝুরি গাছের ওপর গবেষণার ক্ষেত্রে তিনি ইতিমধ্যেই পেটেণ্টের অধিকারী। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন ঔষধী গাছ, সবজী গাছের ওপরও গবেষণা করেছেন। এখনও তিনি নিয়মিত দেশী ও বিদেশী জার্নালে এই সমস্ত উদ্ভাবনী বিষয় নিয়ে লেখালেখি করছেন। ডি এন দাস হাইস্কুলের ক্ষেত্রে তিনিই চালু করেছেন আইডিয়া বক্স। ছাত্রছাত্রীদের উৎসাহিত করছেন বিভিন্ন নতুন নতুন উদ্ভাবনী বিষয় নিয়ে এই আইডিয়া বক্সে জমা করতে। সেখান থেকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের গবেষণায় তিনি উৎসাহ যোগাচ্ছেন। তৈরী করেছেন স্কুলে পাখিদের বাসস্থান। নয়নয় করেও প্রায় ৬ ধরণের পাখির আবাসস্থল তৈরী করেছেন গাছে গাছে। তৈরী করেছেন স্কুলে পুষ্টিকর বাগান। ৮জন মনীষীদের নামে এই বাগানের নামকরণ করা হয়েছে। ১৭রকমের ফলের গাছ লাগিয়েছেন। গত প্রায় ৬ বছর ধরে বাগানে কীটনাশক বিহীন বিভিন্ন ফসলের চাষ করে চলেছেন। সুভাষবাবু জানিয়েছেন, ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে এই বিষয়গুলি ভীষণভাবে প্রভাবিত করছে। তারাও নিজের নিজের বাড়ি এবং পারিবারিক চাষের কাজে এই চিন্তাধারাকে প্রয়োগ করছে। আর এই কাজের ক্ষেত্রে সমানভাবে এগিয়ে এসেছেন স্কুলের ১২জন শিক্ষক-শিক্ষিকা সহ অভিভাবকরাও। সুভাষবাবু জানিয়েছেন, আগামী দিনেও তিনি উদ্ভিদবিদ্যা নিয়েই কাজ করে যেতে চান।