ফোকাস বেঙ্গল ওয়েব ডেস্কঃ পুজোর ঢাকে কাঠি পরতে এখনও কিছুদিন দেরি আছে ৷ তবে ভ্রমন পিপাসু বাঙালি কিন্তু ইতিমধ্যেই ব্যাগপত্তর গোছগাছ শুরু করে দিয়েছে। তাই এবারের পুজো যদি কাটে সাগর পারে, তবে ক্ষতি কিসের ৷ সাগর, নদী, পাহাড় একসঙ্গে অল্প সময়ের মধ্যে দেখতে হলে আপনাকে স্বপরিবারে চলে আসতে হবে চাঁদিপুর ৷
কলকাতা থেকে ট্রেনে বালাসর, সেখান থেকে মাত্র ১৬ কিমি পথ পেরোলেই চাঁদিপুর ৷ শহুরে ব্যস্ততা ফেলে রেখে সমুদ্রের অপরুপ সৌন্দর্য আপনার মন কেড়ে নেবে ৷ কিন্তু সাধ থাকলেও অনেক সময় সাধ্যে কুলায় না। তাই সেই দিকটাও ভাবতে হয়। আর তাই এবার আপনার সাধ্যের মধ্যে পূজোর দিনগুলো কাটাতে দু হাত বাড়িয়ে আপনাকে কাছে টেনে নেবে হোটেল আনন্দময়ী ৷ যা কিনা চাঁদিপুরের মধ্যে সর্ববৃহৎ ৷ হোটেলের ভিতর প্রাকৃতিক পরিবেশ দেখতেই একটা দিন কেটে যায়। রয়েছে নিজস্ব চিল্ডেন পার্ক, গার্ডেন, সমুদ্র দেখবার জন্য নিজস্ব সি-বীচ ৷ থাকার জন্য রয়েছে অত্যাধুনিক রুম, ঠিক যেমনটি আপনি চান ৷ এসি, নন এসি, ডিলাক্স রুম, আর ইন্ডিয়ান থেকে চাইনিজ খাবারের জন্য আপনাকে একবার ঢু মারতেই হবে আনন্দময়ীর শীততাপ নিয়ন্ত্রিত রেস্টুরেন্টে ৷ মিটিং এর জন্য আছে কনফারেন্স হল ৷
চাঁদিপুর যাবেন আর তার চারপাশে ঘুরে দেখবেন না? তা কি হয়। হোটেলে থেকে সমুদ্র দর্শনের পর কাছে পিঠে ঘুরে আসতে পারেন বলরামগুড়ির অন্যতম বৃহৎ মাছের বাজার ৷ নীলগিড়ি পাহাড়ের ওপর পঞ্চলিঙ্গেশ্বর দর্শন, জগন্নাথ মন্দির তো আছেই ৷ একটু দূরেই রয়েছে দেবকুন্ড ৷ যেখানে পঞ্চধারায় জল নেমে এসে মিশেছে এক জায়গায় ৷ আপনি যদি জঙ্গল ও পশুপাখি ভালো বেসে থাকেন তাহলে চাঁদিপুর থেকে একটু বেরিয়ে আসতে হবে সিমলিপাল, কুলডিহায় ৷ দেখা মিলবে হাতি থেকে হরিণের দলের ৷ এছাড়া কুমীর প্রকল্প দেখতে হলে যেতে হবে ভিতরকনিকায় ৷ অপরূপ সৌন্দর্যে ঘেরা আরেক সুন্দরবন। আনন্দময়ীই আপনাকে করে দেবে বেড়ানোর সমস্ত বন্দোবস্ত৷ তাহলে আর দেরি কিসের ৷ কাটুক না এবারের পুজো প্রিয়জনকে নিয়ে চাঁদিপুরে ৷ আনন্দময়ী তো আপনার অপেক্ষায় ... চাঁদিপুর ও আনন্দময়ীর তথ্য পেতে ক্লিক করুন : www.anandamayeehotel.com