Headlines
Loading...
ওষুধ ব্যবসায় ফার্মাসিষ্টদের অভাব পূরণ করতে কলেজ গড়ার দাবী বর্ধমানে

ওষুধ ব্যবসায় ফার্মাসিষ্টদের অভাব পূরণ করতে কলেজ গড়ার দাবী বর্ধমানে


ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমানঃ পূর্ব বর্ধমান জেলায় প্রায় ৪ হাজার ওষুধের দোকান থাকলেও ফার্মাসিষ্ট রয়েছেন মাত্র প্রায় ১ হাজার। ফলে অধিকাংশ ওষুধের দোকানই চলছে বিনা ফার্মাসিষ্টে। রবিবার লয়েল কেমিষ্ট এণ্ড ড্রাগিষ্ট ওয়েলফেয়ার এ্যাসোসিয়েশন নামে তৃণমূল কংগ্রেস প্রভাবিত নয়া সংগঠনের জেলা সম্মেলন থেকে এরকম তথ্যই উঠে এল। আর এই সমস্যা মেটাতে বর্ধমানে ফার্মাসিষ্ট নিয়ে কলেজ তৈরীর দাবী উঠে এল। উল্লেখ্য, গত প্রায় ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে গোটা রাজ্যে খুচরো ও পাইকারী ওষুধ বিক্রেতাদের নিয়ে একটিমাত্র সংগঠন গোটা রাজ্যে কায়েম হয়েছিল। সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেসের ছত্রছায়ায় তৈরী হয়েছে লয়েল কেমিষ্ট এণ্ড ড্রাগিষ্ট ওয়েলফেয়ার এ্যাসোসিয়েশন।
রবিবার বর্ধমান জেলায় প্রথম এই নয়া সংগঠনের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হল। অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ মমতাজ সংঘমিতা, বর্ধমান পুরসভার কাউন্সিলার খোকন দাস, শাহাবুদ্দিন খান, প্রদীপ রহমান সহ সংগঠনের জেলা সভাপতি লক্ষ্মীনারায়ণ কোনার, আহ্বায়ক তুহিন শুভ্র দে,রূপক সরকার, বৈদ্যনাথ কোঙার প্রমুখরা।

এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে সাংসদ তথা স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ মমতাজ সংঘমিতা বলেন, হাসপাতালের সামনে ওষুধের দোকান থাকে। কিন্তু এটা তাকে পীড়া দেয়। কেন হাসপাতালের সামনে ওষুধের দোকান থাকবে? কেন হাসপাতালেই সমস্ত ওষুধ দেওয়া যাবে না - এই ভাবনা তাকে পীড়া দেয়। তিনি এদিন ওষুধ ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে বলেন, অনেক সময়ই প্রয়োজনের অতিরিক্ত ওষুধ কিংবা অপ্রয়োজনীয় ওষুধ দেন ওষুধ ব্যবসায়ীরা। প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধ না দেওয়ারও পরামর্শ দেন তিনি।

জেলায় ফার্মাসিষ্টদের অভাবের বিষয় সম্পর্কে এদিন সাংসদ বলেন, তিনি এব্যাপারে বর্ধমানে যাতে একটি কলেজ তৈরী করা যায় সে ব্যাপারে সরকারের কাছে আবেদন জানাবেন। স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ তথা সাংসদ মমতাজ সংঘমিতা এদিন স্বীকার করেছেন, একজন ফার্মাসিষ্ট যেমন একাধিক জায়গায় সই করে পিছনের দরজা দিয়ে অর্থ কামাচ্ছেন তেমনি অনেক চিকিৎসকও করছেন। এটা বন্ধ হওয়া দরকার। এদিন তিনি এই নয়া সংগঠনের কাছে জীবনদায়ী কিছু সস্তার ওষুধ তৈরী করার জন্য রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন রাখার কথা বলেন। তিনি বলেন, এই সমস্ত সস্তার ওষুধগুলি ওষুধ কোম্পানীরা তৈরী করেন না। তাই সরকার যদি এগুলি উতপাদন করে তাহলে জনগণের উপকার হবে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});