Headlines
Loading...
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অমান্য করে বিরভুমের সিউরিতে অবাধে চলছে বৃক্ষ নিধন

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অমান্য করে বিরভুমের সিউরিতে অবাধে চলছে বৃক্ষ নিধন



পিয়ালী দাস, বীরভূমঃ মমতা ব্যানার্জি রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর গাছ নিধন রুখতে বনদপ্তরকে করা নির্দেশ দিয়েছিলেন। পাশাপাশি সন্তান জন্মের সাথে সাথেই পরিবারের হাতে একটি করে গাছের চারা তুলে দেওয়ার রীতিও চালু করা হয়। এছাড়াও সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের সাথে গাছকে টিকিয়ে রাখার জন্য সারাবছর বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহন করাও হয়ে থাকে। যাতে অযথা গাছ না কেটে ফেলা হয় সে ব্যাপারে বনদফতরকে বিশেষ নজরদারী করার কথাও জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।



কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে একেবারেই উল্টো ছবি। একের পর এক গাছকে নির্বিচারে কেটে ফেলা হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়। কখনো প্রশাসনের অনুমতিতে, কখনোবা বিনা অনুমতিতে লুকিয়ে চুরিয়ে। আর অমানবিকভাবে গাছ কাটার এমনই এক উদাহরণ মিলল বীরভূমের সিউড়িতে। অভিযোগ বিরভুম জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে থাকা সিউড়ি থেকে খটংগা পঞ্চায়েতের প্রায় সাত থেকে আট কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তার সম্প্রসারণের জন্য কেটে ফেলা হয়েছে রাস্তার ধারের প্রায় ১০০ থেকে ১৫০ টি গাছ। যদিও বনদপ্তর এর দাবি ৪০ থেকে ৪৫ টি গাছ কাটার অনুমতি রয়েছে এই রাস্তা তৈরিতে।

গাছ প্রেমী উজ্জ্বল রায়ের বক্তব্য, অনুমতি থাকুক বা না থাকুক এইভাবে নির্বিচারে গাছ কাটা বন্ধ করতে হবে। গাছ কেটে নেওয়ার ফলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে । সরকার যখন একদিকে বলছে 'গাছ লাগাও' তখন অপদিকে নির্বিচারে কেটে ফেলা হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় একের পর এক গাছ। " একটি গাছ একটি প্রাণ" এই স্লোগানকে মিথ্যা প্রমাণ করছে এই ভাবে নির্বিচারে গাছ কাটাতেই। গাছ প্রেমি মানুষজনের আরো দাবি, এত বড় বড় গাছ কিভাবে কাটার অনুমতি দিল বনদপ্তর? এখনকার দিনে তো আর গাছকে কেটে ফেলতে হয় না, আধুনিক যন্ত্রপাতির সাহায্যে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় স্থানান্তরিত করা যায় গাছকে। তাহলে কেন কাটে ফেলার সিদ্ধান্ত নিল বীরভূম জেলা পরিষদ, কেনইবা অনুমোদন দিল বনদপ্তর।

ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার হরেকৃষ্ণানন জানান, ৪০ থেকে ৪৫ টি গাছ কাটার অনুমোদন রয়েছে তাদের কাছে ,এর থেকে যদি বেশি গাছ কাটা হয় তাহলে আমরা অবশ্যই পদক্ষেপ নেব। প্রয়োজনে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পরিবেশ ও গাছ প্রেমী উজ্জ্বল রায় স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, এই বিষয়ে প্রতিবাদ গড়ে তোলার সময় এসেছে । গাছ কাটার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হতে হবে আমাদের। দরকার হলে জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ জানানো হবে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});