
উল্লেখ্য, গুসকরা বাসস্ট্যান্ডের আধুনিকীকরণের উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। সেই কাজেরই অঙ্গ হিসেবে আগামী ৩ সেপ্টেম্বর গুসকরা বাসস্ট্যাণ্ডের দুটি তোরণ ও টিকিট কাউন্টার উদ্বোধনের ইচ্ছা প্রকাশ করেন পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। সম্প্রতি বর্ধমানে একটি অনুষ্ঠানে এসে একথা সরাসরি তিনি ঘোষণাও করে যান। এরপরই তড়িঘড়ি কাজ শুরু হয় পূর্ত দফতরের দায়িত্বে থাকা তৃণমূল কাউন্সিলর নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে। কিন্তু তৃণমূলেরই কাউন্সিলর মল্লিকা চোঙদার সেই কাজ বন্ধ করে দেন। মল্লিকাদেবীর বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী পাঁচ লক্ষ টাকার বেশি কাজের জন্য ই-টেন্ডার ডাকার নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, কোনও টেন্ডার ছাড়াই কাউন্সিলর নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায় ২৮ লক্ষ টাকার কাজ পেটোয়া ঠিকাদারকে পাইয়ে দিয়েছেন। প্রতিবাদ করায় ফেসবুকে তাঁর বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ।
মল্লিকাদেবী জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সহ পরিবহণমন্ত্রীর কাছেও এব্যাপারে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। অন্যদিকে কাউন্সিলর নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, উন্নয়নের সুফল দ্রুত বাসিন্দাদের কাছে পৌঁছে দিতে পুরপ্রধানের সম্মতি নিয়েই কাজ শুরু করা হয়েছিল। কিন্তু মল্লিকা চোংদার তাতে বাধা দিয়েছেন। গুসকরার মানুষ তাকে কোনোদিনই ক্ষমা করবে না। জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, অভিযোগ পেয়েছেন। গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। নিয়ম মেনে কাজ না হলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

