ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: মনের জোরে কিই না করা যায়। হাত না থাকতেও রাইটার নিয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে এসে বুঝিয়ে দিল বর্ধমান শহরের কাঞ্চননগর এলাকার রথতলা মনোহর দাস বিদ্যানিকেতনের ছাত্র রাজদেব ধর।
একে জন্ম থেকেই হাত অকেজো ,তার ওপর মাত্র ৩ বছর বয়সেই মায়ের মৃত্যু। বাবা আবার বিয়ে করেছেন। কিন্তু দাদুর প্রাণপণ সহযোগিতায় সব ধাক্কাই সামলে পড়াশোনা করে আজ রাজদেব মাধ্যমিকে বসেছে।
দাদু বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন কর্মী গোবিন্দ চন্দ্র ধর জানালেন, জন্ম থেকেই ৭৫ শতাংশ প্রতিবন্ধকতা রাজদেবের। এজন্য বাড়িতেই তার টিউশনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।সোমবার বর্ধমানের কৃষ্ণপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে দাদুর সঙ্গে টোটোয় চেপে পরীক্ষা দিতে আসে সে। রথতলা মনোহর দাস স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্র সায়ন দাস রাইটার হিসাবে ছিল রাজদেবের। ভালভাবে পরীক্ষা দিয়ে সে বোঝালো প্রতিবন্ধকতাই শেষ কথা নয়। আগামী দিনেও পড়াশোনা চালিয়ে যাবে সে।
অন্যদিকে রবিবারই পথদুর্ঘটনায় ডান হাত ভেঙ্গে যায় তালিত গৌড়েশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়ের এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী অজয় রাজমল্লের। কিন্তু এজন্য মোটেও ভেঙে পড়েনি সে নিজে। সোমবার সেও কৃষ্ণপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে আসে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে। তার রাইটার হিসাবে ছিল তালিত গৌড়েশ্বর হাইস্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্র আকাশ বেসরা। পরীক্ষা শেষে অজয় জানালো তার পরীক্ষা খুবই ভাল হয়েছে।
কৃষ্ণপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সৌমেন কোনার জানিয়েছেন, দুটি ছাত্রকেই বিশেষ অনুমতি নিয়ে রাইটার দেওয়া হয়েছে এবং অতিরিক্ত ৪৫মিনিট সময় দেওয়া হয়েছে। দুটি ছাত্রই জানিয়েছে তাদের পরীক্ষা ভাল হয়েছে।
ছবি - সুরজ প্রসাদ