Headlines
Loading...
মেমারিতে নাবালিকার বিয়ের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার মেয়ের বাবা,পাত্র সহ মোট ৫জন

মেমারিতে নাবালিকার বিয়ের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার মেয়ের বাবা,পাত্র সহ মোট ৫জন

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,মেমারি:কন্যাশ্রী প্রকল্প গড়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের মেয়েদের লেখাপড়ার ব্যবস্থাকে  সুনিশ্চিত করার পরেও স্কুল ছাড়িয়ে নাবালিকা মেয়েদের বিয়ে যে সম্পূর্ণ বন্ধ করা যাচ্ছে না তা আরো একবার দেখা গেল বুধবার পূর্ব বর্ধমানের মেমারীর একটি ঘটনায়। মেমারী ২নং ব্লকের বিজুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দখলপুর গ্রামে আশাপুর আনন্দময়ী হাইস্কুলের সপ্তম শ্রেণীর ওই নাবালিকাকে জোর করে বিয়ে দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে  নাবালিকার বাবা,খোদ পাত্র,পাত্রের মাসি সহ মোট ৫জনকে। বৃহস্পতিবার তাদের বর্ধমান আদালতে তোলা হয় । আর এই ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে খোদ প্রশাসনিক মহলে।
আশাপুর আনন্দময়ী হাইস্কুলের প্রধানশিক্ষক সুব্রত বিষ্ণু এব্যাপারে জানান,মেয়েটির বিয়ের ঠিক হওয়ার খবর পাওয়ামাত্র তিনি যোগাযোগ করেন স্থানীয় বিডিও অনিন্দিতা রায়চৌধুরী, তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি দীনবন্ধু ঘোষ সহ মেমারী থানার সঙ্গে। কন্যাশ্রী ক্লাবের সদস্য ও পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে বুধবারই মেয়েটির বাড়িতে যাওয়া হয়। কথা বলা হয় মেয়েটি ও তার বাবা-মায়ের সঙ্গে। কথাবার্তায় অসঙ্গতি ধরা পড়ে। এছাড়াও বিয়ের এলাহি আয়োজন দেখে তাদের সন্দেহ হয়।সুব্রতবাবু জানান,তাঁদের ধারণা অত্যন্ত দরিদ্র তফসিলি উপজাতি পরিবারে বিয়ের এমন আয়োজন বড়মাপের আর্থিক লেনদেন ছাড়া সম্ভব নয়। বিয়ের নাম করে নাবালিকা ছাত্রীটিকে বিক্রি করে দেবার চক্রান্ত করেছিলেন ছাত্রীর পরিবার বলেই আশংকা প্রকাশ করেন সুব্রত বাবু। এরপরই বিয়ে বন্ধ করে এদিন রাতেই মেয়েটির বাবাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের পরে গ্রেপ্তার করা হয় বাকিদের।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মাত্র ৬ হাজার টাকার বিনিময়ে ওই ছাত্রীকে তুলে দেওয়া হচ্ছিল পাত্রপক্ষের হাতে। কার্যত মেয়েকে বিক্রি করার দায়ে এদিন গ্রেপ্তার করা হয় ৫জনকে। পুলিশ জানিয়েছে জেরায় বিয়ের জন্য আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি স্বীকার করেছে ছাত্রীটির বাবা-মা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে বছর ১৪-র ওই নাবালিকা ছাত্রীটির বিয়ের ঠিক করা হয়েছিল উত্তরপ্রদেশের বাদায়ুন জেলার দাতাগঞ্জ থানার সেরসা গ্রামের বাসিন্দা বছর ৩৬-এর দুর্বেশ জাঠাম নামে এক যুবকের সঙ্গে। জেরায় আরও জানতে পারা গেছে এই বিয়ের যোগাযোগের পিছনে হাত রয়েছে পাত্রের মাসীর।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});