ধীরাজ বাবু জানিয়েছেন, মিরছোবা এলাকায় তিনি স্টেট ব্যাংকের সদরঘাট শাখার একটি গ্রাহক সেবা কেন্দ্র চালান।ওই শাখাতেই তার নিজস্ব একটি কারেন্ট অ্যাকাউন্ট আছে। গত ২১ ফেব্রুয়ারী বেলা দশটায় মেল খুলে তিনি জানতে পারেন তার ডেবিট কার্ড ব্যবহার করে এয়ার ক্যান নামে একটি সংস্থায় ২৯ হাজার ১৭২ টাকার কেনাকাটা হয়েছে। কেনাকাটা হয়েছে ওইদিন ভোর তিনটে আট মিনিটে। তাঁর দাবি পিন বা ওটিপি ছাড়া অনলাইন ট্রানজাকশান সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে সেটাই ঘটেছে বলে মনে করছেন তিনি। এরপর বেলায় তিনি বর্ধমানে স্টেট ব্যাংকের রিজিওনাল অফিসের চ্যানেল ম্যানেজারের কাছে এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ জানান। চ্যানেল ম্যানেজার মুম্বইয়ের বেলাপুরে এসবিআইয়ের সার্ভার কন্ট্রোল বিভাগে মেল করেন।
ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, যে কোনও ট্রানজাকশানে টার্মিনাল আই ডি এবং টার্ম ব্যাংকের নাম শো করে থাকে। কিন্তু এই ক্ষেত্রে দুটোই নট শো দেখাচ্ছে। এই তথ্য ব্যাংকের রিজিওনাল শাখা বেলাপুরকে জানিয়েছে। ওটিপি কোড ব্যবহার করলে ট্রানজাকশানে অ্যাপ্রুভ কোড দেখা যায়। পিন কোডের ক্ষেত্রে তা নট শো দেখায়। এক্ষেত্রে তাই দেখাচ্ছে। এদিন ব্যাংকের টেকনিক্যাল বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এক্ষেত্রে পিন নম্বর জেনারেট করে পারচেজ করেছে হ্যাকাররা। উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহারে কার্ডের ক্লোন তৈরি করেও এই প্রতারণা হতে পারে।
ধীরাজবাবু জানিয়েছেন, এটিএম কার্ডের সিকিউরিটি সিস্টেম যে যথেষ্ট নয় এই ঘটনাই তার প্রমাণ।
ধীরাজবাবু জানিয়েছেন, এটিএম কার্ডের সিকিউরিটি সিস্টেম যে যথেষ্ট নয় এই ঘটনাই তার প্রমাণ।