ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান:বর্ধমান থেকে নদীয়ায় সরাসরি রেল যোগাযোগের দাবিতে ফের সরব হল বর্ধমান -নবদ্বীপ রুটের ইউনাইটেড প্যাসেঞ্জার্স ফোরাম এবং বর্ধমান সদর ১নং ব্লকের নাগরিক মঞ্চ। এ ব্যাপারে গত ২০১০ সালে প্রায় দশ হাজার মানুষের গণস্বাক্ষর সম্বলিত একটি দাবিপত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তারা পাঠিয়েছিলেন বলেও জানালেন নাগরিক মঞ্চের আহ্বায়ক জ্যোতিপ্রকাশ ব্যানার্জ্জী। কিন্তু এলাকার মানুষের দাবী আজও পূরণ না হওয়ায় নতুন করে তাঁরা আবার এই দাবীতে পথে নামতে চলেছেন বলে জানান জ্যোতিপ্রকাশবাবু। তিনি জানান,সোমবারই এই রেলপথ চালুর জন্য প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁরা গণস্বাক্ষর করে স্মারকলিপি পাঠিয়েছেন। সংগঠনের দাবি, এই রেলপথ তৈরী হলে এ রাজ্যে তো বটেই এমনকি গোটা দেশেই আর্থ-সামাজিক পরিবর্তন ঘটানো সম্ভব।
নাগরিক মঞ্চ ও ফোরামের পক্ষ থেকে প্রস্তাবিত রেলপথের একটি নকশাও তৈরী করা হয়েছে। সেই নকশা অনুযায়ী দেখানো হয়েছে বর্ধমান ও নদীয়ার মধ্যে রেল যোগাযোগের জন্য মাত্র ৪৫ কিলোমিটার রেলপথ স্থাপন করা দরকার। তাঁদের দাবি এর জন্য জমি অধিগ্রহনেরও কোনো ঝামেলা থাকছে না।
জ্যোতিপ্ৰকাশবাবু জানান, বর্ধমানের দেওয়ানদিঘীর কিছুটা আগে যে ডিভিসি ৬ এমসি ক্যানেল গেছে তার উত্তরদিকের পাড় প্রায় ৫০ ফুট পর্যন্ত চওড়া। এই পাড়েই ব্রডগেজ লাইন হতে পারে। তাঁদের নকশা অনুসারে বর্ধমান থেকে পূর্ব দিকে ব্যান্ডেল-কাটোয়া লাইনের সঙ্গে রেলপথের সংযোগ ঘটালেই সরাসরি নবদ্বীপ, কৃষ্ণনগর , শান্তিপুর, রানাঘাট হয়ে লাইনটি বাংলাদেশ সীমান্তের গেদে পর্যন্ত চলে যেতে পারে। একইসঙ্গে এই রেলপথ চালু করা গেলে মন্তেশ্বর ব্লকের দীর্ঘদিনের রেলপথের অভাবও মিটবে।
সংগঠনের দাবি, নতুন এই রেলপথের ফলে শুধু যাত্রী পরিষেবার সুফলই মিলবেনা,এর জেরে একদিকে যেমন ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্যিক আদানপ্রদান সহজ হবে, অন্যদিকে তেমনি পূর্ব ভারতের সঙ্গেও যোগাযোগ আরো দ্রুত হবে। পাশাপাশি প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রেও একটা বড় সুবিধা হবে।