Headlines
Loading...
 বর্ধমানে নাবালিকা বিয়ে রদে কন্যাশ্রী মেয়েদের উদ্যোগ থমকে গেলো প্রশাসনিক ব্যার্থতায়।

বর্ধমানে নাবালিকা বিয়ে রদে কন্যাশ্রী মেয়েদের উদ্যোগ থমকে গেলো প্রশাসনিক ব্যার্থতায়।

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: ৫মাসে ১১৬টি নাবালিকা বিয়ে আটকানোর ঘটনায় সম্প্রতি পূর্ব বর্ধমান জেলার কন্যাশ্রী ক্লাবের মেয়েদের ভূয়সী প্রশংসা করে গিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। এমনকি কন্যাশ্রী মেয়েদের পুরষ্কৃত করার জন্য জেলা পুলিশ সুপারকেও নির্দেশ দিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এরপরেও বৃহস্পতিবার এক নাবালিকার বিয়ে আটকানোর উদ্যোগ নিয়েও কন্যাশ্রী মেয়েদের খালি হাতে ফিরতে হল। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে,শুধুমাত্র লোকবল আর গাড়ি না থাকার কারণে এদিন সব কিছু জেনেও নাবালিকার বাড়ি যেতে পারলেন না সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা। এই ঘটনায় রীতিমত আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে প্রশাসনিক মহলে।
জানা গেছে, বর্ধমান সদর তথা বর্ধমান থানার নাড়ীগ্রাম শান্তনু ঘোষ মেমোরিয়াল হাইস্কুলের কয়েকজন কন্যাশ্রী ক্লাবের মেয়ে বৃহস্পতিবার বর্ধমান জেলা আইনী পরিষেবা কেন্দ্রের সম্পাদক জয়প্রকাশ সিং-এর সঙ্গে সরাসরি দেখা করে। তারা তাঁকে জানায় তাদেরই এলাকার একটি স্কুলের ১৫ বছরের মেয়ে তথা নাবালিকার বিয়ে দিয়ে দেবার চেষ্টা করছে তার পরিবার। তারা এও জানায়, আগামী ৪ ফেব্রুয়ারী ওই নাবালিকার বিয়ে হওয়ার কথা গুসকরায়।এব্যাপারে ওই কন্যাশ্রী ক্লাবের মেয়েরা বিয়ে আটকানোর জন্য প্রশাসনিক সহযোগিতার আবেদন জানায়। এরপর জেলা আইনী পরিষেবা কেন্দ্রের সম্পাদক জয়প্রকাশ সিং ওই কেন্দ্রের স্বেচ্ছাসেবক সবিতাব্রত হাটিকে এব্যাপারে সহায়তা করা এবং একইসঙ্গে জেলা সমাজকল্যাণ দপ্তরকেও সহায়তা করার নির্দেশ দেন। 
সেইমত কন্যাশ্রী ক্লাবের মেয়েরা হাজির হন জেলা সমাজকল্যাণ দপ্তরের আধিকারিক প্রশান্ত রায়ের কাছে। তিনি কন্যাশ্রী ক্লাবের মেয়েদের আবেদন পেয়েই এব্যাপারে দ্রুত চাইল্ড লাইনকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। কিন্তু এরপরই তৈরী হয় সমস্যা। চাইল্ড লাইনের আধিকারিক মহুয়া ভূঁই জানিয়ে দেন, এদিন তাদের কাছে লোকবল এবং গাড়িবল কিছুই নেই। তাই তারা এদিন যেতে পারবেন না। তিনি জানান,এদিন ভাতারে একটি নাবালিকা বিয়ে আটকানোর ব্যাপারে দপ্তরের অনেকে বেরিয়ে গিয়েছেন। যেহেতু বিয়ের দিন ৪ ফেব্রুয়ারী তাই তাঁরা একটা দিন বেশী সময় চেয়ে নিয়েছেন প্রশাসনের কাছে। তিনি জানান, শুক্রবারই তারা ওই নাবালিকার বাড়িতে যাবেন।
এদিকে প্রশ্ন উঠেছে, নিয়মানুযায়ী নাবালিকা বিয়ে রদ করার বিষয়ে খবর আসার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই যেখানে ব্যবস্থা নেবার কথা,সেক্ষেত্রে এদিন খোদ কন্যাশ্রীর ক্লাবের মেয়েরা এগিয়ে আসলেও প্রশাসনিক দুর্বলতায় তা পালিত না হওয়া নিয়ে।
এই ঘটনা সম্পর্কে খোদ জেলা কন্যাশ্রী প্রকল্পাধিকারিক শারদ্বতি চৌধুরী জানান, এই
ঘটনা তাঁকে কেউ জানাননি। কেবলমাত্র গাড়ি না থাকার জন্য যাওয়া যায়নি তা তাঁকে জানালে কিংবা মহকুমা শাসককে জানালে তাঁরাই দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারতেন। কেন এই ধরণের ঘটনা ঘটল তা তিনি খোঁজ নিয়ে দেখবেন



(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});