Headlines
Loading...
পোষ্ট অফিসে স্বল্পসঞ্চয় খাতে টাকা রেখে প্রতারিত গ্রাহকরা আদালতের স্মরণাপন্ন

পোষ্ট অফিসে স্বল্পসঞ্চয় খাতে টাকা রেখে প্রতারিত গ্রাহকরা আদালতের স্মরণাপন্ন


ফোকাস বেঙ্গল নিউজ ডেস্ক:ডাকঘরে স্বল্পসঞ্চয় খাতে টাকা রেখে প্রতারিত হবার ঘটনায় আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও প্রায় ৫ মাস পেরিয়ে গেলেও কোনো ক্ষতিপূরণ না পাওয়ায় এবার সরাসরি পোষ্ট অফিসের বিরুদ্ধেই আইনানুগ ব্যবস্থা নেবার আর্জি জানালেন গ্রাহকরা। আগামী ফেব্রুয়ারী মাসেই এব্যাপারে কলকাতা রাজ্য ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে এই আবেদনের শুনানির দিন রয়েছে।

বর্ধমান জেলা ক্রেতা সুরক্ষা এবং কল্যাণ কেন্দ্রের সম্পাদক কুদরাতুল আবেদিন জানিয়েছেন, ২০১২ সালে বর্তমান পশ্চিম বর্ধমানের বার্ণপুরের বার্ণপুর মার্কেটের সাব পোষ্ট অফিসের এই দুর্নীতির বিষয়টি
জানা যায়। বার্ণপুরের শান্তিনগরের বাসিন্দা দীপ্তি দাস সহ ৭৫জন গ্রাহক অভিযোগ করেন, পোষ্টাল এজেণ্টের মাধ্যমে মাসিক আয় প্রকল্পে (এমআইএস) তাঁরা ওই পোষ্ট অফিসে টাকা জমা করেন। এজন্য প্রতি মাসে মাসে তাঁরা সুদও পেতে থাকেন। এরই মাঝে ২০১২ সালে ওই পোষ্ট অফিসের পোষ্টমাষ্টার বদলি হয়ে যান। পরিবর্তে অন্য পোষ্ট মাষ্টার আসেন। ইতিমধ্যে দুজন গ্রাহকের মেয়াদ
পূর্তি হওয়ায় তাঁরা গচ্ছিত টাকা ফেরত পেতে আবেদন করেন। যথারীতি পোষ্টমাষ্টার তাঁদের এ‌্যাকাউণ্টের বই জমা নেন। এরপরই দেখা যায় ওই এলাকার প্রায় ৭৫জনের ক্ষেত্রে এই ধরণের ঘটনা ঘটেছে। গ্রাহকদের পোষ্টাল বিভাগের পাশবইও দেওয়া হয়েছে। যথারীতি তাদের প্রতি মাসে সুদবাবদ টাকা দেবার পর সেই বইয়ে বিভাগীয় ছাপও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এব্যাপারে কোনো রেকর্ডই নেই পোষ্টাল দপ্তরে। এরপরই ওই পোষ্টমাষ্টার থানায় পূর্বতন পোষ্টা মাষ্টার এবং ওই প্রকল্পের এজেণ্টের বিরুদ্ধে লিখিত এফআইআর করেন। 

কে.আবেদিন জানিয়েছেন, এই ঘটনায় ওই দুজনকে গ্রেপ্তারও করে পুলিশ। এরপরই গ্রাহকরা বর্ধমানের ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে মামলা করেন। বর্ধমানের ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে গ্রাহকরা হেরেও যান। পরে রাজ্য ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে আপিল করেন তাঁরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতবছর ৩১ আগষ্ট আদালত পোষ্টাল বিভাগকে গ্রাহকদের গচ্ছিত টাকা ৪৫দিনের মধ্যে ফেরত দেবার নির্দেশ দেন। নির্দেশ দেন গচ্ছিত টাকার ৯ শতাংশ হারে মামলার দিন থেকে টাকা ফেরত দেবার দিন পর্যন্ত ক্ষতিপূরণবাবদ দেবার। এছাড়াও মামলার খরচ চালানোর জন্য মামলাকারীকে ১০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেবার নির্দেশ দেন। 

কে.আবেদিন জানিয়েছেন, এই নির্দেশের পর কেটে গেছে কয়েক মাস। এখনও পোষ্টাল বিভাগ গ্রাহকদের ক্ষতিপূরণ না দেওয়ায় সংকটে পড়েছেন গ্রাহকরা। আদালতের নির্দেশ কার্যকরী না করার ঘটনায় তাই ফের আদালতে পোষ্টাল বিভাগের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননা এবং এই ঘটনায় উপযুক্ত শাস্তি বিধানের আবেদন জানানো হয়েছে। আগামী ফেব্রুয়ারী মাসে এই মামলার শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});