ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: বাজেট বৃদ্ধি করে নতুন মাত্রায় ২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে চলেছে ১০ম কাঞ্চন উৎসব। গত বছরের তুলনায় ১০ লক্ষ টাকার বাড়তি সংযোগে এবারের উৎসবের বাজেট ৪০ লক্ষ টাকা। শনিবার কাঞ্চন উৎসব সম্পর্কিত এক সাংবাদিক বৈঠকে এ কথা জানালেন উৎসবের সভাপতি তথা বর্ধমান পুরসভার পুরপতি পরিষদের সদস্য খোকন দাস। তিনি জানান,ভগিনী নিবেদিতার সার্ধশত বর্ষ জন্মদিবস উপলক্ষে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে কাঞ্চন উৎসবের এবারের থিম 'ভগিনী নিবেদিতা'। পাশাপাশি নিবেদিতার স্ত্রী শিক্ষার লক্ষ্যকে সামনে রেখে বিশ্বের দরবারে সম্মানিত রাজ্য সরকারের কন্যাশ্রী প্রকল্পকেও উৎসবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এবছর উৎসবের উদ্বোধন করবেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে থাকবেন বলিউডের সুপার ষ্টার সঞ্জয় দত্ত।
ছুরি-কাঁচির জন্য বিখ্যাত বর্ধমানের কাঞ্চন নগরের অন্যতম ঐতিহ্য এখানকার প্রাচীন কঙ্কালেশ্বরী কালী মন্দির। এই মন্দির প্রাঙ্গনেই প্রতিবারের মত এবারও অনুষ্ঠিত হতে চলেছে কাঞ্চন উৎসব। উৎসবকে কেন্দ্র করে আয়োজিত মেলায় এবার ২০০টিরও বেশি স্টল থাকবে বলে জানালেন খোকন দাস। তিনি এদিন জানান, কাঞ্চন নগরে বেশ কিছু প্রাচীন মন্দির রয়েছে। কাঞ্চন উৎসবের উদ্বৃত্ত অর্থে প্রতিবছর একটি করে প্রাচীন মন্দিরের সংস্কার করা হয়। এবছর স্থানীয় মনসা মন্দিরের সংস্কার করা হয়েছে। তিনি জানান,উৎসবের সমস্ত খরচ বহন করেন উৎসব কমিটির সঙ্গে যুক্ত ৫০০ জন সদস্য। তাঁরা ৫০০ ও হাজার টাকায় আর্থিক অনুদান দেন। এছাড়া উৎসব ও মেলার খরচ তুলতে আয়োজন করা হয় একটি লটারি খেলারও। উৎসবের বাড়তি অর্থেই এখানে তৈরী হয়েছে নবনীড় বৃদ্ধাশ্রম এবং কাঞ্চন গেট।
কাঞ্চন উৎসব উপলক্ষে ইতিমধ্যেই সেজে উঠেছে কঙ্কালেশ্বরী মন্দির প্রাঙ্গন। আলোকসজ্জায় সেজেছে সংলগ্ন অবসরিকা উদ্যান। পার্শ্ববর্তী মাঠে জোর কদমে চলছে মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি। এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে উৎসব কমিটির সভাপতি দর্শকদের কাছে অনুরোধ জানালেন রাত্রি ৮ টার পর যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে তাতে যে বিপুল জনসমাগম হবে সেই পরিস্থিতে যেন ছোট বাচ্চাদের না নিয়ে আসন তাঁরা। শিশুদের সুরক্ষার কথা ভেবেই এই আবেদন তাঁরা দর্শক ও শ্রোতাদের কাছে রাখছেন। যদিও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পর্যাপ্ত পুলিশি ব্যবস্থা থাকার কথাও এদিন জানিয়েছেন খোকন দাস।
এবারের কাঞ্চন উৎসবের নয়দিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রধান আকর্ষণ সংগীত শিল্পী শ্রেয়া ঘোষাল। এছাড়াও থাকছেন মুম্বাইয়ের খ্যাতনামা সংগীত শিল্পী হিমেশ, চিন্তন বাকীওয়ালা, উষা,চন্দ্রিমা ,পালক মুচ্ছল, অমিত মিশ্রা, অন্তরা মিত্র ও দেবনেগী। থাকছে বিখ্যাত নৃত্যশিল্পীদের অনুষ্ঠানও। প্রতিবছরের মত এবারও ছোটদের জন্য রাখা হয়েছে নানা সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতাও।
উৎসব কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আসার কথা থাকলেও তিনি সেদিন আসতে পারছেন না। পরিবর্তে তিনি আসবেন৭ ফেব্রুয়ারি।
ছবি - সুরজ প্রসাদ