Headlines
Loading...
ট্রাভেল ইউনিয়নগুলির বনধে আন্দামানের হ্যাভলক কার্যত অচল

ট্রাভেল ইউনিয়নগুলির বনধে আন্দামানের হ্যাভলক কার্যত অচল

সুব্রত চক্রবর্তী,হ্যাভলক : যানবাহনের অভাবে সকাল থেকে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে আন্দামান ও নিকোবর দীপপুঞ্জের হ্যাভলক আইসল্যান্ড। স্পীড বোট অ্যসোসিয়েশন, হ্যাভলক ফোর হুইলার অ্যসোসিয়েশন এবং অটো ইউনিয়ন-এর ডাকে হ্যাভলক জেটিতে শুক্রবার সকাল ৭ টা থেকে সকল অ্যসোসিয়েশন-এর চালক ও কর্মকর্তারা অবস্থান বিক্ষোভ বসেছেন। ফলে সমস্যায় পড়েছেন হাজার হাজার পর্যটক। যদিও সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখে হাসপাতাল, মেডিকেল সপ, দমকল, সকল সরকারী বোট (জাহাজ) ও সরকারী বাসকে ধর্ণার বাইরে রাখা হয়েছে । অ্যাম্বুলেন্স না থাকায় জরুরী পরিষেবার জন্য বেসরকারী যানবাহন এর উপরেই নির্ভর করতে হয়, তাই সাধারণ মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় জরুরী পরিষেবা অ্যসোসিয়েশন দেবে বলে জানানো হয়েছে।
এদিকে ট্রাভেল এসোসিয়েশনগুলি জানিয়েছে, ২০ থেকে ২৩শে জানুয়ারি পর্যন্ত এই ধর্ণা চলবে বলে।এর পরেও সমস্যার সমাধান না হলে আগামী ২৭শে জানুয়ারি থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য চাক্কা জ্যাম করার কথা জানান তারা। বলাই বাহুল্য হ্যাভলক কার্যত অচলের দিকে এগোচ্ছে। ইতিমধ্যেই কয়েক হাজার পর্যটক আটকে আছেন হ্যাভলকে। এই সমস্যার  সমাধান না হলে আরও বড় ধরনের সমস্যার আশঙ্কা করছেন পর্যটকরা। 
উল্লেখ্য,হ্যাভলক আইসল্যান্ড প্রধানত পর্যটন কেন্দ্র বলেই পরিচিত, কিন্তু শহরের বিভিন্ন প্রান্তে চোখ রাখলেই ফুটে ওঠে আন্দামান এডমিনিষ্ট্রেশন এর চরম অব্যবস্থার ছবি। জেটি থেকে এশিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম বিচ রাধানগর আসতে কার্যত প্রাণ হাতেই আসতে হয়।সরু রাস্তা, বড় বড় গর্তে ভর্তি।  সেখানে পৌছেও আর এক বিপত্তি। নেই কোনো গাড়ী পার্কিং-এর নির্দিষ্ট জায়গা। ফলে একটু ভিড়েই অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে রাস্তা, আর সেই সুযোগে পুলিশও শুরু করে তাদের জুলুমবাজি। কালাপাথরের চিত্রটাও ঠিক একই। শহরের প্রাণকেন্দ্র গোভিন্দনগর। কিন্তু সেখানে নেই কোনো শৌচালয়ের ব্যবস্থা। একটি মাত্র পেট্রোল পাম্প থাকলেও তেলের জোগান খুবই কম। এলিফ্যান্ট বিচ, কালাপাথর ও রাধানগর সহ সব জায়গায় সন্ধ্যা নামলেই অন্ধকার। ল্যাম্পপোষ্ট দাঁড়িয়ে থাকলেও তাতে আলো নেই। অন্য দিকে ইন্টারনেট পরিষেবা যেমন নেই তেমনি সরকারী জাহাজগুলোর পর্যাপ্ত টিকিট-এর যোগানও খুবই কম। ফলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে এসব সমস্যা এখানকার ট্রাভেল এসোসিয়েশনকেই পোহাতে হয় বলে অভিযোগ। তাই পর্যটকরা সমস্যায় পড়লেও তাদের স্বার্থেই তারা পথে নেমেছেন বলে জানান ট্রাভেল ইউনিয়ন এর মালিক সংগঠন। সাময়িক সমস্যার জন্য সকলের কাছে আগাম ক্ষমাও চেয়েছেন ট্রাভেল অ্যসোসিয়েশনের মালিক সংগঠন। শুক্রুবার থেকে ধর্ণা শুরু হলেও এখনও পর্যন্ত আন্দামান প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনও উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা তাদের সাথে কথা বলেন নি বলেও জানিয়েছেন তারা। 
এখন দেখার বিষয় আন্দামান প্রশাসন কি বার্তা দেয় এবং কত দ্রুত এই সমস্যা সমাধানের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করে। 
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});