Headlines
Loading...
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কাঁকসা ব্লকে শুরু হলো কৃষি সিঞ্চাই যোজনার কাজ।

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কাঁকসা ব্লকে শুরু হলো কৃষি সিঞ্চাই যোজনার কাজ।


মালা ঘোষ,বর্ধমান: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী কাঁকসা ব্লকে শুরু হল অসেচসেবিত এলাকার জমিকে সেচসেবিত করার কাজ। এজন্য ইতিমধ্যেই ব্লকের তিনটি গ্রামকে বেছে নেওয়া হয়েছে , যেখানে জমি চিহ্নিত করে শুরু করা হয়েছে প্রাথমিক পর্যায়ের কাজও। এইসব এলাকায় প্রধানমন্ত্রী কৃষি সিঞ্চাই যোজনা প্রকল্পের অধীনে সেচহীন জমিকে সেচসেবিত করার কাজ চলবে বলে কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে। 
ডিসেম্বরের শুরুতে পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসায় সভা করতে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলার কৃষি দপ্তরকে নির্দেশ দেন শুকনো জমিকে যত দ্রুত সম্ভব সেচের আওতায় আনতে। কিভাবে সেখানকার ড্রাইল্যান্ডকে সেচের আওতায় আনা সম্ভব, সে সম্পর্কে পূর্ব বর্ধমানের জেলা উপ কৃষি অধিকর্তা ( বিবিপি )গৌরকুমার সিংহ জানান, কাঁকসা ব্লকের বনকাটি, মলানডিহি, ও আমলাজোড়া- এই তিনটি গ্রামপঞ্চায়েত এলাকাকে বেছে নিয়ে সেখানে পিএমকেএসওয়াই প্রকল্পের আওতায় সেচসেবিত করা হবে ড্রাইল্যান্ডকে। এজন্য এলাকার চাষীদের নিয়ে ক্লাস্টার গঠন করা হচ্ছে। বনকাটির পশ্চিম গঙ্গারামপুর, মলানডিহির কুলডিহা এবং আমলাজোড়ার নতুনগ্রাম মৌজায় ২০-৩০ হেক্টর জমিকে এক ফসলি থেকে দুই কিংবা তিন ফসলিতে পরিণত করা হবে। প্রতিটি ক্লাস্টারে ৫০-৬০ জন করে চাষীর জমি একত্রিতভাবে সেচের আওতায় আনার কাজ চলবে। 

তবে প্রধানমন্ত্রী কৃষি সিঞ্চাই যোজনায় অসেচসেবিত জমিকে সেচের উপযুক্ত করে তোলার আগে সেই এলাকার ভৌগোলিক অবস্থান বিচার বিবেচনা করা বিশেষ জরুরি বলে জানান গৌরবাবু।  তিনি জানান, ওই সমস্ত এলাকায় প্রকল্প রূপায়ণে পুকুর, ডোবা কিংবা পাতকুয়ো খনন করাই হলো প্রকল্পের মূল উদ্দ্যেশ্য। সেক্ষেত্রে মোটর বা মাইক্রো ইরিগেশন সেট অথবা স্প্রিংলার ইরিগেশনের মাধ্যমে জলসেচের ব্যবস্থা করা সম্ভব। লক্ষ্য রাখতে হবে জলের অপচয় যেন না হয়। একাজে প্রতিটি ক্লাস্টার পিছু ১৬ লক্ষ টাকা করে নেওয়া হবে।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});