Headlines
Loading...
বর্ধমান হাসপাতালে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার আধুনিকীকরণের কাজ শুরু হল।

বর্ধমান হাসপাতালে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার আধুনিকীকরণের কাজ শুরু হল।


ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান:বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে স্থায়ী অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা তৈরীর কাজ শুরু হল। কলকাতার একটি বেসরকারী সংস্থার অধীনে গোটা হাসপাতাল জুড়েই মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে পাইপ লাইন বসানোর কাজ।হাসপাতালের সমস্ত ওয়ার্ডকে ঘিরে ফেলা হচ্ছে জলের পাইপ লাইন দিয়ে। বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডেপুটি সুপার ডা. অমিতাভ সাহা জানিয়েছেন, এই বিষয়ে অনেকদিন আগে থেকেই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। টেন্ডারের জন্য কাজ পিছিয়ে ছিল। তিনি জানান, স্মোক ডিটেক্টর, স্মোক অ্যালার্ম লাগানো হচ্ছে যাতে কোন জায়গায় আগুন লাগলে বা ধোঁয়া সৃষ্টি হলে কেন্দ্রীয়ভাবে তা বোঝা যায়। পর্যাপ্ত জল সরবরাহের জন্য ৬ টি পাম্প মেশিন বসানো হচ্ছে হাসপাতাল চত্বরে।ছোটোখাটো অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটলে নতুন এই ব্যবস্থা কার্যকরী ভূমিকা নেবে। তবে দমকলের গাড়ি যে লাগবেনা তা বলা যাবে না। বড় ধরণের অগ্নিকাণ্ডের ক্ষেত্রে দমকলের গাড়িকে আসতেই হবে।
তিনি জানান, বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং অনাময় হাসপাতালে ফায়ার ফাইটিং সিস্টেম এবং ফায়ার অ্যালার্ম সিস্টেম পি ডব্লিউ ডি ইলেকট্রিক্যাল এবং সিভিল-এর মাধ্যমে করা হচ্ছে। ইলেক্ট্রিক্যাল দপ্তর করছে অ্যালার্ম-এর কাজ। বিড়ি সিগারেট খাওয়ার জন্য ছোটখাটো ধোঁয়া হলেও এই স্মোক ডিটেক্টরের মাধ্যমে ধরা পড়বে। হাসপাতাল 'নো স্মোকিং জোন', এটা আরও বেশি কড়াকড়ি হবে। আগামী ৩ মাসের মধ্যেই এই অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা পুরোদমে চালু হয়ে যাবে।
ডেপুটি সুপার জানান,এই ব্যবস্থা পুরোপুরি চালু হয়ে গেলে হাসপাতাল সংলগ্ন দোকান,বাড়ি,কলেজে অগ্নিকাণ্ডের ক্ষেত্রেও জল সরবরাহে সুবিধা হবে। তিনি জানান, বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও অনাময় দুটো প্রজেক্ট মিলিয়ে ৫ কোটি টাকা খরচ করছে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর।
উল্লেখ্য,গত কয়েকবছরে রাজ্যের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে একাধিক অগিকাণ্ডের ঘটনা ঘটায় সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল উঠেছে দফায় দফায়। কার্যত এই অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতেই ধাপে ধাপে সরকারী হাসপাতালগুলিতে বিশেষত অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। 
                                                                                                       ছবি - সুরজ প্রসাদ 




(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});