Headlines
Loading...
বর্ধমানে ইমিটিশন কারখানার বিষাক্ত জল খেয়ে পশু মৃত্যুতে চাঞ্চল্য।

বর্ধমানে ইমিটিশন কারখানার বিষাক্ত জল খেয়ে পশু মৃত্যুতে চাঞ্চল্য।


ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান:
কারখানার বিষাক্ত ক্যামিকেল মিশ্রিত বর্জ্য জল খেয়ে একাধিক গবাদি পশু মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল বর্ধমানের রায়ান-১পঞ্চায়েতের মালিরবাগান মাঠপাড়া এলাকায়। মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় রেহেনা ইমিটেশন ও গোল্ড পালিশ নামে অবৈধ একটি ইমিটেশনের গহনা তৈরির কারখানা থেকে নির্গত বিষাক্ত জল খেয়েই এলাকার চারটি হাঁস এবং একটি গরু মারা যায় বলে অভিযোগ। এরপরই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন স্থানীয় এলাকাবাসি। কারখানা বন্ধের দাবিতে স্থানীয় সঞ্জু মন্ডলের বাড়িতে চড়াও হয় এলাকার মানুষজন।এই বাড়িতেই ভাড়া নিয়ে অবৈধ ভাবে ব্যবসা চালাতো ওমর আলী শেখ। যদিও সেই সময় কারখানার মালিক বাড়িতে ছিল না। ওই বাড়িতেই বসবাসকারী অন্য ভাড়াটেদের সামনে পেয়ে তাদেরকে অবিলম্বে এই কারখানার কাজ বন্ধ করে দেবার কথা বলে বিক্ষোভকারীরা। 

স্থানীয় বাসিন্দা মনু মারজিৎ,চম্পা সাঁতরা,শেখ রহমান ও সঞ্জয় মণ্ডলেরা জানান,গত ৬মাস আগেই এই কারখানাকে অবৈধ ঘোষণা করে বন্ধ করে দেবার নির্দেশ জারি করেছে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। কয়েকমাস আগে কিছুদিনের জন্য কারখানার উৎপাদন বন্ধও হয়েছিল। কিন্তু তারপর কোনো অজানা কারণে আবার কারখানার কাজ পুরোদমে চালু হয়ে যায়। তাঁদের অভিযোগ এদিন সকালে কারখানা থেকে নির্গত বিষাক্ত জল খেয়ে এলাকার ৪টি হাঁস ও একটি গরু মারা যায়। এর আগেও স্থানীয় সঞ্জয় মন্ডলের দুটি ছাগল ওই জল খেয়েই মারা গিয়েছিলো। স্থানীয়দের দাবি জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ সব কিছু জেনেও এই কারখানা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ করছে না। ফলে এলাকার মানুষ আতংকে দিন কাটাচ্ছে। তাঁরা পোষা গরু,ছাগল,হাঁসেদের বাইরে ছাড়তে ভয় পাচ্ছেন।


এদিকে এই প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে বর্ধমান ১ব্লকের সভাপতি ফাল্গুনী দাস রজক জানান,কারখানার জল খেয়ে পশু পাখি মৃত্যুর ঘটনার বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ তিনি পাননি। তবে মালিরবাগানের ইমিটিশন কারখানার এই মুহূর্তে কোনো ট্রেড লাইসেন্স নেই। তারপরেও যদি কারখানা চালু থাকে তা খতিয়ে দেখতে হবে।যদিও ফাল্গুনী দাস রজক জানান,৬মাস আগে এই কারখানার বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়ে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ থেকে পরিদর্শনের পর তা বন্ধ করে দেবার নির্দেশ দেয়।এর কয়েকমাস পর কারখানার মালিকপক্ষের তরফে জানানো হয় কিছু শর্তসাপেক্ষে কারখানা চালানোর জন্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের অনুমতি তারা পেয়েছে। এবং তার ভিত্তিতে তারা স্থানীয় পঞ্চায়েতে ট্রেড লাইসেন্সের জন্যও আবেদন করেছে। যদিও তা এখনো দেওয়া হয়নি।

অন্যদিকে,খোদ ওই কারখানার মালিক ওমর আলি সেখ জানিয়েছেন, তাঁর কারখানার যাবতীয়
অনুমোদন রয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, এলাকার কয়েকজন উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে তাঁকে অপদস্থ করতে চাইছেন।
পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই কারখানাকে বন্ধ করে দেবার নোটিশ দেওয়া হলেও

কিভাবে এখনও তা চলছে সে সম্পর্কে জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন,
এব্যাপারে মহকুমা শাসককে(দক্ষিণ) গোটা বিষয়টি দেখতে বলা হয়েছে। অবৈধভাবে কারখানা
চালু থাকলে আইনানুগ উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

                                                                                                            ছবি - সুরজ প্রসাদ 
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});