Headlines
Loading...
দ্য গ্রেট এস-কেক নামক কেকের ব্রাণ্ড সংরক্ষিত করার উদ্যোগ নিল পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন।

দ্য গ্রেট এস-কেক নামক কেকের ব্রাণ্ড সংরক্ষিত করার উদ্যোগ নিল পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন।




ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: রাজ্যের মধ্যে প্রথম কন্যাশ্রী -২ সুবিধাপ্রাপক মেয়েদের জন্য দ্য গ্রেট এস-কেক নামক কেকের ব্রাণ্ড সংরক্ষিত করার উদ্যোগ নিল পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন। একইসঙ্গে এই কন্যাশ্রীর মেয়েদের তৈরী কেকের জন্য জিআই রেজিষ্টেশন করার বিষয়েও পদক্ষেপ নিচ্ছে প্রশাসন। কন্যাশ্রীদের তৈরী ফ্রুট এবং পেন কেককেই আসন্ন বড়দিন ও ইংরাজী নববর্ষের বাজার ধরতে বাজি হিসাবে নিচ্ছে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার বর্ধমানের হাটগোবিন্দপুরের ভূপেন্দ্রনাথ দত্ত স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ে এব্যাপারে বাছাই করা ১৫জন কন্যাশ্রী মেয়েকে কেক তৈরীর বিষয়ে প্রশিক্ষণও দেওয়া হল। তাদের হাতে কেক তৈরীর যন্ত্রও তুলে দেওয়া হল। অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব, কন্যাশ্রী প্রকল্প আধিকারিক শারদ্বতি চৌধুরী, বিধায়ক নিশীথ মালিক প্রমুখ।
জেলাশাসক এদিন বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই কেক তৈরির ব্যাপারে বিভিন্নভাবে অর্থনৈতিক সহযোগিতা করা হবে। বিভিন্ন লোনের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। কেকের ভাল মার্কেট থাকায় বাড়ীতে বসেই ফোনে বা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে যেমন প্রচার করতে পারবে,তেমনি অর্ডারও নিতে পারবে মেয়েরা।তার জন্য পোস্টারের মাধ্যমে প্রচার করা হবে। প্রথম অর্ডারের ক্ষেত্রে সরকারি ভাবে প্রাথমিক সহযোগিতা করা হবে। আপাতত মেয়েরা কলেজেই এই কেক তৈরী করবে। পরে বাড়ীতে ব্যক্তিগত বা দলগত ভাবে এই ব্যবসা করতে পারবে। জেলাশাসক জানান, পরে রেজিস্টেশন, জি এস টি সমস্ত ব্যপারেই সাপোর্ট দেওয়া হবে। এই কেকের 'ব্র্যান্ড নেম' কন্যাশ্রীর মেয়েদের জন্যই সংরক্ষিত করে রাখা হবে।
জেলাশাসক এদিন বলেন, কন্যাশ্রী মানেই যে শুধু স্কলারশিপ পাবে,এমনটা ঠিক নয়। তাঁদেরকে জীবনে প্রতিষ্ঠিত করাও আমাদের লক্ষ্য। নাবালিকা বিবাহ প্রতিরোধ করে কন্যাশ্রীদের সাবলম্বী করতেই এই গ্রেট এস-কেক প্রকল্পের সূচনা করা হয়েছে। তিনি বলেন, কণ্যাশ্রীর প্রাপ্য টাকা অনেক ক্ষেত্রেই সঠিক ব্যবহার হচ্ছে না। হয় বিয়েতে খরচ করে দেওয়া হচ্ছে, নয়তো কেউ মোবাইল কিনে নিচ্ছে। জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে গেলে কঠিন পরিশ্রম করা দরকার। শুধু চাকরিই করতে হবে এমন ভাবনা দূর করে নিজেকে স্বনির্ভর করার লক্ষ্য স্থির করতে হবে। অর্থনৈতিক স্বাধীনতা পেলে, সামাজিক এবং রাজনৈতিক স্বাধীনতা সহজেই পাওয়া যাবে।

                                                                                                                        ছবি - সুরজ প্রসাদ 
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});