Headlines
Loading...
আগামী পঞ্চায়েতে তৃণমূলকে তাড়াতে বর্ধমানে পাল্টা মারের নিদান বিজেপির জেলা যুব মোর্চার।

আগামী পঞ্চায়েতে তৃণমূলকে তাড়াতে বর্ধমানে পাল্টা মারের নিদান বিজেপির জেলা যুব মোর্চার।


ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান:পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য তৈরী হতে মারের বদলে পাল্টা মারের বিধান দিল বিজেপি। বুধবার বর্ধমানের কার্জন গেটের প্রতিবাদ সভা থেকে বিজেপির জেলা যুব মোর্চার সভাপতি শ্যামল রায় সংগঠনের রাজ্য স্তরের নেতাদের সামনেই দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দিলেন, হাতে মোটা মোটা লাঠি রাখুন।সেগুলো কাজে লাগাবেন। হাতের ঝান্ডাকেই ডান্ডা করবেন। যুব মোর্চা সভাপতির অকপট যুক্তি, কাদা পুকুরে নামলে গায়ে পাঁক লাগবেই। এদিনের সভায় রাজ্য নেতৃত্বের পাশাপাশি বক্তব্য রাখেন বিজেপির বর্ধমান জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দী, অরুণ জ্যোতি তেওয়ারি, ধ্রুব সাহা প্রমুখ।
বুধবার বিজেপির বর্ধমান জেলা যুব মোর্চার উদ্যোগে বর্ধমান ষ্টেশন থেকে কার্জন গেট পর্যন্ত মহা জাগরণ যাত্রা এবং প্রতিবাদ সভা পালন করা হয়। শাসক দল তৃণমূলের কাছে এরাজ্যে এখন প্রধান বিরোধী শক্তি যে তারাই ,তা উপলব্ধি করেই বিজেপি পঞ্চায়েত নির্বাচনকে মহারণ হিসাবে গ্রহণ করে জোড়ালো লড়াইয়ের ডাক দিয়েছে। তারই অঙ্গ হিসাবে এদিনের এই প্রতিবাদ সভা। এদিন তাসা পার্টি নিয়ে বিজেপির একদল কর্মী নাচতে নাচতে ষ্টেশন থেকে হাজির হন কার্জন গেটে। নেতাদের বক্তব্য শোনার জন্য মঞ্চের সামনে হাজিরও হয়েছিলেন জেলার বিভিন্ন ব্লক থেকে বহু দলীয় কর্মী।


সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি দেবজিৎ সরকার ২১ জুলাই তৃণমূল কংগ্রেসের শহিদ দিবস নিয়ে রীতিমত কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, যারা মেরেছিল তাঁরাই আজ প্রশাসনের বা দলের বড় পদে। তাঁরাই আজ নব্য তৃণমূল। তিনি বলেন, সাঁইবাড়ি হত্যাকান্ড নিয়ে কমিশন হয়েছে, কিন্তু বেশ কয়েক বছর হয়ে গেল কোনও উত্তর মেলেনি। পরিবর্তে ফিসফ্রাই খাওয়ানো হয়েছে।দেবজিৎবাবু বলেন, বর্তমান রাজ্য সরকার পুলিশকে দলদাসে পরিণত করেছে। দলের কথা না শুনলেই তাঁকে বদলি করে দেওয়া হচ্ছে। একগালে চড় খেলে অন্য গাল পেতে দেওয়াতে বিজেপি বিশ্বাস করেনা। বিজেপি বিশ্বাস করে প্রতিবাদ, প্রতিরোধ, পারলে প্রতিশোধে। তাঁর হুঁশিয়ারী, বিজেপি নেতা কর্মীদের উপর পুলিশ প্রশাসন, শাসকদল যে ভাবে অত্যাচার চালাচ্ছে, বিজেপি এরাজ্যে ক্ষমতায় এলে এই সমস্ত ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত করা হবেই। তাঁর দাবি যেভাবে বিজেপি এগিয়ে চলেছে তাতে আগামী ১০-২০ বছর পরে বাংলাদেশ যেতে গেলে আর পাসপোর্ট লাগবে না।

এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে যুব মোর্চার কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি ইজাজ হুসেন রাঠোর বলেন, বাংলাদেশ থেকে আসা লোক এখানে সরকার চালাচ্ছে। শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীর পবিত্র ভূমি পশ্চিমবঙ্গ এখনও স্বাধীন হয়নি। কিন্তু বিজেপির কারণেই কাশ্মীরের বাসিন্দারা স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছে। পুরো দেশ আমাদের। যে ধর্মেরই হোক। এই রাজ্যে শুধু ধর্মের নামে দাঙ্গা হয়। উন্নয়নের জন্য আন্দোলন করুন। 
                                                                                                                        ছবি - সুরজ প্রসাদ 





(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});