Headlines
Loading...
বর্ধমানে এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে চাকরি করে দেবার এবং বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ।

বর্ধমানে এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে চাকরি করে দেবার এবং বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ।


ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: আর্থিক দুরাবস্থার সুযোগ নিয়ে বর্ধমান পৌরসভায় চাকরি করে দেবার প্রলোভন দেখিয়ে বর্ধমানের ছোটনীলপুরের বাসিন্দা এক বিধবা মহিলাকে ধর্ষণ করার অভিযোগে বড়নীলপুর দাসপাড়ার বাসিন্দা পেশায় মাছ ব্যবসায়ী শুভজিৎ দাসের বিরুদ্ধে বর্ধমান আদালতে মামলা দায়ের করলেন ওই গৃহবধূ।

অভিযোগকারী মহিলা জানিয়েছেন,গত তিন বছর আগে তাঁর স্বামী মারা যান। তাঁর একটি ১২ বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে।  স্বামী মারা যাবার পর মেয়েকে নিয়ে তিনি আর্থিক অনটনের মুখে পরেন। গত ২৬জানুয়ারি স্থানীয় মাছ ব্যাবসায়ী শুভজিৎ দাসের কাছে তাঁদের আর্থিক দুরাবস্থার কথা জানিয়ে একটা কাজের সন্ধান চান। শুভজিৎ নিজেকে তৃণমূল কংগ্রেসের বড় নেতা জানিয়ে বর্ধমান পৌরসভায় চাকরি করে দেবার প্রতিশ্রুতি দেয় তাঁকে। এরপর বেশ কয়েকবার বাজারে দুজনের দেখা হয় এবং কথাও হয় বলে মহিলা জানান। তিনি জানান, এরপর গত ১৫ আগস্ট শুভজিৎ তাঁর বাড়িতে আসে এবং তাঁকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। এমনকি কয়েকটি ছাপানো কাগজে তাঁকে দিয়ে সই করিয়ে নেয়। জানায় এসব চাকরির জন্য লাগবে। ওই মহিলার অভিযোগ,সেই দিনই অভিযুক্ত তাঁকে জোর করে ধর্ষণ করে। মহিলা কান্নাকাটি করলে অভিযুক্ত তাঁকে জানায় সে অবিবাহিত। মহিলাকে সে বিয়ে করবে,এবং তাঁর মেয়ের দায়িত্ব নেবে।

মহিলার অভিযোগ, তিনি নিজে একজন বিধবা মহিলা হয়ে লোকলজ্জার ভয়ে কাউকে বিষয়টি জানান না। এরই মধ্যে মহিলা গর্ভবতী হয়ে পড়েন। অভিযুক্ত এরপর প্রায়ই ওই মহিলার বাড়িতে আসা যাওয়া করতে থাকেন।গর্ভবতী হওয়ার কথা শুভজিৎকে জানিয়ে ওই মহিলা তাঁকে বিয়ে করতে বলেন। কিন্তু ওই মহিলার অভিযোগ,শুভজিৎ আজ -কাল করে বিয়ের বিষয়টি এড়িয়ে যেতে থাকে। এরপর গত সেপ্টেম্বর মাসের ২৯তারিখে জোর করে বর্ধমান পৌরসভার স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ওই মহিলাকে নিয়ে গিয়ে গর্ভপাত করিয়ে দেয় শুভজিৎ। মহিলার অভিযোগ,ডাক্তাদের সঙ্গে কথা বলে তাঁকে দিয়ে সইও করিয়ে নেওয়া হয়। মহিলা জানান,এরপর কিছুটা সুস্থ হলে ফের শুভজিৎকে বিয়ের কথা বললে নীলপুর বাজারে তাকে মারধর করার পাশাপাশি তার শ্লীলতাহানি করে অভিযুক্ত। এমনকি তাঁকে বিয়ে করবে না বলেও  জানিয়ে দেয় শুভজিৎ।

মহিলাটি জানিয়েছেন,এই ঘটনার বিরুদ্ধে বর্ধমান সদর থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে তাঁর অভিযোগ নেওয়া হয়না। পরে ১৩নভেম্বর জেলা পুলিশ সুপারের অফিসে লিখিত অভিযোগ জমা দেন তিনি। কিন্তু অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় বাধ্য হয়ে সুবিচারের আশায় বর্ধমান আদালতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬/৩১৩/৩২৩/৫০৬ ধারায় মামলা নথিভুক্ত করেন তিনি। 

এদিকে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই শুভজিৎ দাস জানিয়েছেন, তাঁর কাছ থেকে একসময় টাকা ভার নিয়েছিল ওই মহিলা। টাকা ফেরত দেবার জন্য বলা হয়েছিল। ওই মহিলার সম্পর্কে পাড়ার সবাই সবকিছু জানেন।মহিলা যে অভিযোগ করছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। তাঁকে বদনাম করার জন্য স্থানীয় কয়েকজন পরিকল্পনা করে এই কাজ করেছে। 
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});