ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,রায়না: পূর্ব বর্ধমান জেলার রায়না থানার গোপালপুর গ্রামে পালিত হলো সহেলা বা ঝাপান উৎসব। এবছর ৭০ বছরে পা দিল এই সহেলা বা বন্ধু উৎসব।মূলতঃ গ্রাম বাংলার বিভিন্ন ধরণের সাপ চেনাতে, সাপের চরিত্র সম্পর্কে আরও বেশি অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে এবং সাপের ভীতি কাটাতে এই উৎসব পালিত হয়ে আসছে।
উৎসব কমিটির সম্পাদক অশোক সাঁতরা জানিয়েছেন, ৭০ বছর আগে পূর্ণচন্দ্র সাঁতরা এবং হরিহর সাঁতরা এই সহেলা উৎসবের প্রচলন করেন। তৎকালীন সময়ে গোপালপুর এবং আশপাশের এলাকায় ব্যাপক সাপের উপদ্রব ছিল। সাপের কামড়ে প্রায়শই মানুষের মৃত্যু হত। তাই সাপ সম্পর্কে ভীতি কাটাতে মনসাদেবীর আরাধনা শুরু হয়। কোন্ সাপ বিষধর বা কোন সাপের গতিপ্রকৃতি কি ধরণের প্রভৃতি নানা বিষয়কে এবং সাপের ভীতি দূর করতে শুরু হয় সাপুড়েদের লড়াই।
উৎসব কমিটির সম্পাদক অশোক সাঁতরা জানিয়েছেন, ৭০ বছর আগে পূর্ণচন্দ্র সাঁতরা এবং হরিহর সাঁতরা এই সহেলা উৎসবের প্রচলন করেন। তৎকালীন সময়ে গোপালপুর এবং আশপাশের এলাকায় ব্যাপক সাপের উপদ্রব ছিল। সাপের কামড়ে প্রায়শই মানুষের মৃত্যু হত। তাই সাপ সম্পর্কে ভীতি কাটাতে মনসাদেবীর আরাধনা শুরু হয়। কোন্ সাপ বিষধর বা কোন সাপের গতিপ্রকৃতি কি ধরণের প্রভৃতি নানা বিষয়কে এবং সাপের ভীতি দূর করতে শুরু হয় সাপুড়েদের লড়াই।
এর ফলে গ্রামের মানুষ সাপ চিনতে শুরু করে। একইসঙ্গে সাবধানতাও অবলম্বন করতে শুরু করে। আর এই উৎসবে সকলকে একত্রিত করতে পুজোর পাশাপাশি শুরু করা হয় মেলা,যাত্রা,সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
অশোক বাবু জানান, একদিকে ধমীয় ভাবাবেগ এবং তার পাশাপাশি সরকারী যে নির্দেশ সাপে কামড়ালে ওঝা বা গুণীন নয় সরাসরি হাসপাতালে নিয়ে যাবার প্রচারও করা হয় এই উৎসব মঞ্চ থেকে।
উল্লেখ্য,এই সহেলা উৎসবের মুখ্য আকর্ষণ সাপুড়েদের জ্যান্ত সাপ নিয়ে নানান কসরৎ। চটুল বাক্য বিনিময়ের সাথে দুই সাপুড়ের লড়াই দেখতে ভিড় করেন আশপাশের গ্রামের বহু মানুষ। উৎসব কমিটির পক্ষ থেকে পুরস্কৃতও করা হয় তাঁদের।
ছবি - সুরজ প্রসাদ