ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বাঁকুড়া : কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্র বিক্ষোভ,ছাত্র ভর্তি নিয়ে রাজনীতি কিংবা ছাত্র ছাত্রীদের হাতে শিক্ষক নিগ্রহের ঘটনা এই রাজ্যে প্রায়ই শুনতে পাওয়া যায়। কিন্তু খোদ কলেজ অধ্যক্ষ এর জন্য পঠন পাঠন ব্যাহত হচ্ছে বলে ছাত্র ছাত্রীরাই অভিযোগ করছেন এমন ঘটনা বিরল। বাঁকুড়ার ইন্দুপুরের সালডিহা কলেজে শনিবার ছাত্র ছাত্রীরা খোদ অধ্যক্ষ থেকে শুরু করে অন্যান শিক্ষক শিক্ষিকারা নিয়মিত কলেজ আসছেন না যার জেরে কলেজের পঠন পাঠন বিঘ্নিত হচ্ছে এবং বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হচ্ছে বলে স্বারকলিপি জমা দিলেন। এই ঘটনায় জেলাজুড়ে আলোড়ন তৈরী হয়েছে।
ঘটনার বিষয়ে জানতে শালডিহা কলেজে অধ্যক্ষ সেখ সিরাজুদ্দিন বাবুকে ফোন করা হলে তিনি বারবার ফোন কেটে দিয়েছেন। বর্তমান ছাত্র সংসদের সেক্রেটারি জয় বাউরি অবশ্য কলেজের এই অবস্থার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন,এই কলেজের একটা ঐতিহ্য আছে। ১৯৬০ সালে প্রতিষ্ঠা হওয়া এই কলেজে এখনো সেভাবে রাজনীতির ছায়া পড়েনি। পড়াশোনার মানও যথেষ্ট উন্নত। কিন্তু ইদানিং কলেজের প্রিন্সিপাল কলেজেই আসছেন না। বাকি শিক্ষক শিক্ষিকারাও অনিয়মিত। যার ফলে কলেজের পঠন পাঠন সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত। আমরা বারবার মৌখিক ভাবে এই সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। কিন্তু অবস্থার পরিবর্তন না হওয়ায় আজ ডেপুটেশন দেওয়া হলো। যদি সব কিছু ঠিক ঠাক না হয় আগামীদিন বৃহৎ আন্দোলনে যাওয়া হবে বলে জয় বাবু জানিয়েছেন।
কলেজের অন্যান ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে মৃনাল মন্ডল,রাহুল পাত্র,সোমা মিশ্র,সোনালি পান্ডারা জানিয়েছেন, অধ্যক্ষের অনুপস্থিতির কারণে কিছুদিন ধরে তারা সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। প্রিন্সিপাল নিজে এসএসসি রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের সদস্য, তাই ওই দপ্তরের কাজ দেখতে গিয়ে আমাদের মতো ছাত্রছাত্রীদের ভবিষৎ নিয়ে ভাবছেন না। ইদানিং কলেজে বহিরাগতদের আনাগোনা বেড়েছে। যেটা আগে ছিল না। রাজ্যের আর পাঁচটা কলেজের মতো এই কলেজে রাজনীতি নিয়ে উত্তেজনা কম। তাই পঠন পাঠনের মান ভালো। কিন্তু খোদ অধ্যক্ষ যদি অনিয়মিত হন তাহলে বাকিরা তো বেলাগাম হবেনই। তাই আমরা দ্রুত এই অবস্থার পরিবর্তন চেয়েছি।


