ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,কল্যাণী : ইউরোপ মহাদেশে ভারত থেকে আমন্ত্রিত একমাত্র ও সর্বপ্রথম নাট্যদল হিসাবে কল্যাণী কলামণ্ডলম তাদের সাম্প্রতিক নাটক ম্যাকবেথ মিরর এর সফল মঞ্চায়ন অনুষ্ঠিত করলো।গত ২৯ জুলাই ও ১ আগষ্ট ইউরোপ এর সবচেয়ে বড় শেক্সপিরীয় উৎসবগুলির মধ্যে অন্যতম এই উৎসবে বাংলা ভাষায় নাটক মঞ্চস্থ করে ইতিহাস তৈরী করলো কল্যাণী কলামণ্ডলম।
চেক প্রজাতন্ত্রের যে চারটি শহরে প্রায় এক দশক ধরে গ্রীষ্মকালীন শেক্সপিয়ার নাট্য উৎসবের আসর বসে, তার অন্যতম হল সিলেসীয় মোরাভীয় অঞ্চলের প্রাণকেন্দ্র অস্ত্রাভা। একটি দুর্গের মধ্যে মুক্তাঙ্গনে আয়োজিত এই উৎসবে ২৯ জুলাই তারিখে ভারত থেকে একমাত্র ম্যাকবেথ মিরর নাটকটি বাংলা ভাষায় অভিনিত হয়।
পোল্যান্ডের গ্দানক্স শহরে ইউরোপের অন্যতম বৃহৎ শেক্সপিয়ার উৎসবে পৃথিবীর প্রায় চল্লিশটি দেশ থেকে আমন্ত্রিত প্রায় চারশো নাটকের সাথে ১ আগষ্ট তারিখে নাটকটির পরপর দুটি অভিনয় মঞ্চস্থ হয় গ্দানক্স শেক্সপিয়ার থিয়েটার রঙ্গমঞ্চে।
শেক্সপিয়ারের বহুচর্চিত নাটক ম্যাকবেথ এর একাধিক বঙ্গানুবাদ বাংলার নাট্যদলগুলি মঞ্চে উপস্থাপন করেছেন। কিন্তু দত্তাত্রেয় দত্তর অনুবাদ এবং শান্তনু দাস-র নির্দেশনায় প্রস্তুত সাম্প্রতিক এই নাটকটি একটি সম্পূর্ণ ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে তথা অভিনব আঙ্গিকে পরিবেশিত। নাটকটিতে বর্ণিত ঐতিহাসিক ঘটনাবলী তিন ডাইনির মনোদর্পনে যেভাবে প্রতিফলিত হয়েছে সেভাবেই স্থানকালের গন্ডি ছাড়িয়ে দর্শকদের সামনে তুলে ধরা হয়েছে। এই রূপান্তরে ভারতীয় বশীকরণ, মারণ, সম্মোহন ও মন্ত্রতন্ত্র সুচারুভাবে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনজন অভিনেত্রী (মোনালিসা চট্টোপাধ্যায়, অনন্যা দাস ও দীপিকা হালদার) শুধু ডাকিনীত্রয়ী নয়, নাটকের অন্যান্য চরিত্রও ফুটিয়ে তুলেছেন অসাধারন দক্ষতায়। সংগীতময় এই প্রযোজনায় সহায়তা করেছেন চক্রপাণি দেব, সঞ্জীব দেবনাথ এবং নিদর্শক শান্তনু দাস।
কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় এর দূর শিক্ষার সহ অধিকর্তা ফারুক আহমেদ বলেন, "দেশের বাইরে বহুল প্রশংসিত এই প্রযোজনা কল্যাণী কলামণ্ডলমের কাছে নিঃসন্দেহে একটি মাইলস্টোন এবং কল্যাণীর গর্ব। এই সুসংবাদটি সবার মধ্যে ছড়িয়ে পড়ুক। সুস্থ সমাজ গড়ে তুলতে কল্যাণী কলামণ্ডলম এর এই উদ্যোগ সবাইকে প্রাণিত করুক।"
