ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,কালনা :কলেজে ভর্তিকে কেন্দ্র করে মন্তেশ্বরে আক্রান্ত ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক ও ব্লক তৃণমূল নেতা। এই ঘটনায় আজ দুপুর থেকে তৈরী হয়েছে তীব্র উত্তেজনা।
জানা গিয়েছে ,বর্ধমানের মন্তেশ্বর গৌড়মোহন কলেজে ভর্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সমস্যা এবং ইভটিজিংকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার দুপুরে সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতিদের হাতে বেধড়ক মার খেলেন কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ইমরান সেখ এবং মন্তেশ্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা তৃণমূল বিধায়ক ঘনিষ্ঠ নেতা সব্যসাচী চক্রবর্তী। তাদের এদিনই বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বর্ধমান হাসপাতালে চিৎসাধীন থাকা দুই আহত তৃণমূল নেতাই জানিয়েছেন,এদিন দুপুরে মন্তেশ্বরের কুসুমগ্রাম পার্টি অফিস থেকে মোটর বাইক নিয়ে মন্তেশ্বর যাবার পথে প্রায় জনা ৩৫ জন সশস্ত্র অবস্থায় হামলা চালায় তাঁদের ওপর। লাঠি, রড, শাবল নিয়ে বেধড়ক মারা হয় দুজনকেই।
এই ঘটনায় স্থানীয় মানুষজন এসেই তাঁদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় প্রথমে মন্তেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে পরে সেখান থেকে তাদের বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ইমরান সেখ এবং সব্যসাচী চক্রবর্তী উভয়েই জানিয়েছেন,গত কয়েকদিন ধরেই মন্তেশ্বর কলেজে ভর্তি নিয়ে গোলমাল বাধানোর চেষ্টা চলছে। এব্যাপারে তাঁরা রুখে দাঁড়ানোর জন্যই এদিন সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতিরা তাদের ওপর হামলা চালায়।
এদিকে, এই ঘটনার পর মন্তেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক সৈকত পাঁজা জানিয়েছেন,যারা হামলা চালিয়েছে তাঁরা নামে তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থক হলেও আসলে তারা সিপিএম সমর্থক। তিনি জানিয়েছেন,এব্যাপারে পুলিশকে দ্রুত অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবার জন্য বলা হয়েছে। একইসঙ্গে এব্যাপারে দলের জেলা সভাপতি তথা মন্ত্রী স্বপন দেবনাথকে ঘটনার বিষয়ে সব জানানো হয়েছে। জানানো হচ্ছে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রীকেও।
এদিকে, এই হামলার ঘটনার পরই তৃণমূল ছাত্র সমর্থক সহ তৃণমূল সমর্থকরা দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবীতে মন্তেশ্বর থানা ঘেরাও এবং রাস্তা অবরোধ করে। তাঁরা অভিযোগ তুলেছে ইভটিজিং এবং ভর্তি নিয়ে কয়েকদিন আগে কলেজের প্রিন্সিপ্যালকেও নিগৃহিত করা হয়। অবিলম্বে দোষীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবীও জানানো হয়েছে।



