Headlines
Loading...
বর্ধমানে পুজোর আগেই রাস্তায় রাস্তায় বেপরোয়া রোমিওদের দাপট, নিরাপত্তা নিয়ে আশংকায় শহরবাসী

বর্ধমানে পুজোর আগেই রাস্তায় রাস্তায় বেপরোয়া রোমিওদের দাপট, নিরাপত্তা নিয়ে আশংকায় শহরবাসী


ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: পুজোর আনন্দে বাঙালির মেতে উঠতে আর বাকি মাত্র কটা দিন। আর তার আগেই রাস্তায় রাস্তায় দু চাকা, চার চাকা নিয়ে বেপরোয়া রোমিওদের ব্যাপক দাপাদাপি শুরু হয়ে গেল শহরজুড়ে। ইতিমধ্যেই চার চাকা নিয়ে বেশ কয়েকজন যুবক এক হবু দম্পতিকে রাস্তায় উত্যক্ত করা এবং মারধরের অভিযোগ দায়ের হয়েছে বর্ধমান থানায়। যদিও এই ঘটনায় যুক্ত এখনো কেউ গ্রেপ্তার হয়নি বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। তবে অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।

বর্ধমানের শাঁখারীপুকুর পিরতলার বাসিন্দা অদিতি দাস বর্ধমান থানায় লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, গতকাল অর্থাৎ ৩সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ তিনি এবং তাঁর হবু স্বামী সন্দীপন সরকার একটি বাইকে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলাপবাগ এলাকার রাস্তা ধরে যাচ্ছিলেন। সেইসময় একটি বলেরো গাড়িতে (যার নম্বর WB 54K 6366) ৭-৮জন ছেলে তাঁদের বাইকের পাশ দিয়ে যাবার সময় গাড়ির ভিতর থেকেই অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ এবং অশ্লীল অঙ্গভঙ্গী করতে শুরু করে। 

অদিতি দাস অভিযোগে জানিয়েছেন, এই ঘটনাকে উপেক্ষা করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতেই চারচাকা বলেরো গাড়িটিও গোলাপবাগ মোড় থেকে নবাবহাটের দিকে কিছুটা এগিয়ে ইউআইটি কলেজের গেটের কাছে তাঁদের মোটরসাইকেলের সামনে রাস্তা আটকে দাঁড় করিয়ে দেয়। এরপর গাড়ি থেকে দুজন ছেলে নেমে তাঁর হাত ধরে টানাটানি করতে শুরু করে। প্রতিবাদ করলে অভিযুক্ত যুবকরা তাঁদের বলে, 'যা করার আছে করে নে, আমাদের কেউ কিছু করতে পারবে না। যা করেছি বেশ করেছি'। এরপর তাঁর হবু স্বামী সন্দীপন সরকার এগিয়ে এসে উন্মত্ত যুবকদের বাধা দিতে গেলে তাঁকে রীতিমত মারধর করতে শুরু করে দুষ্কৃতীরা। মারতে মারতে তাঁকে কিছুদূর টেনেও নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। 

অদিতি দাস জানিয়েছেন, এই সময় পুলিশের একটি গাড়ি চলে আসায় দুষ্কৃতীরা সন্দীপন কে ছেড়ে দিয়ে গাড়িতে উঠে সবাই পালিয়ে যায়। আহত সন্দীপন সরকারকে এরপর চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। গতকাল রাতেই বর্ধমান থানায় ঘটনার বিষয় জানিয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়। সন্দীপন সরকার জানিয়েছেন, তিনি অভিযুক্তদের কাউকেই চেনেন না। কেনই বা তারা তাদের উপর আক্রমণ করলো তাও বুঝতে পারছেন না। তবে এই ঘটনার পর রীতিমত আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন তাঁরা। এমনকি বর্ধমান শহরের রাতের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। সোমবার এই ঘটনার প্রতিবাদে কার্জন গেট চত্বরে বিভিন্ন সমাজসেবী সংগঠনের সদস্যরা হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});