Headlines
Loading...
নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ভারী গাড়ির যাতায়াত, ভেঙ্গে গেল গলসীর ডিভিসির সেতু, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন বহু গ্রামের

নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ভারী গাড়ির যাতায়াত, ভেঙ্গে গেল গলসীর ডিভিসির সেতু, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন বহু গ্রামের


ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,গলসী: আশঙ্কা ছিলই। তাই প্রশাসনের পক্ষ থেকে সতর্কতা জারি করে নির্দেশিকা বোর্ড লাগানো হয়েছিল বহুদিন আগেই। নিষিদ্ধ করা হয়েছিল যেকোনো ভারী যানবাহন চলাচল। তবুও প্রতিদিন নিয়ম ভেঙে দেদার যাতায়াত করছিল বালির গাড়ি, ইটের গাড়ি থেকে অন্যান্য ভারী যানবাহন।  শেষমেষ বুধবার সকাল ১০টা নাগাদ ভেঙ্গে গেল গলসী-২ ব্লকের স্বাধীনতার সময় তৈরি হওয়া ডিভিসি সেচ খালের উপর উড়ো সেতু। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এদিন সকালে একটি ইট বোঝাই লরি এই সেতুর উপর দিয়ে পেরোনোর সময় সেতুর একটি অংশ ভেঙে বসে যায়। সেতুর একটি পিলারও ভেঙে যায়। বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে অল্পের জন্য রেহাই পেয়ে যায় লরিটি। সেতুর ভাঙা অংশে লরির পিছনের চাকা বসে গিয়ে আটকে ঝুলতে থাকে। ঘটনার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি গলসী থানা থেকে পুলিশ দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে লরিটিকে উদ্ধার করার কাজ শুরু করে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রথমেই লরিটিতে বোঝাই করা ইট খালি করার কাজ শুরু করে। এই কাজে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় স্থানীয়রা। 

এদিকে এই সেতু ভেঙ্গে পড়ায় উড়ো থেকে তাহেরপুর-দাদপুর পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটার রাস্তায় ৮ থেকে ১০টি গ্রামের মানুষ সম্মুখীন হয়েছে ব্যাপক সমস্যার। ভুঁড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান সুবোধ ঘোষ জানিয়েছেন, সেচ দপ্তরের পক্ষ থেকে এই সেতুটিকে অনেক দিন আগেই বিপজ্জনক সেতু বলে জানিয়ে দিয়েছিল। সেতুর পাশে বোর্ডে লেখাও ছিল ভারী যানবাহন চলা নিষিদ্ধ। তবু প্রতিদিনই বেশ কিছু বালির গাড়ি, ইটের গাড়ি যাতায়াত করতো। প্রশাসনকে জানিয়েও বন্ধ হয়নি। এখন এই সেতু ভেঙ্গে যাওয়ায় ভুঁড়ি অঞ্চলের ডালিমগড়িয়া, কালনা, বলনা, ভুঁড়ি, গোমদপুর, রাঘবপুর, ইটারু, দাদপুর, তাহেরপুর প্রভৃতি গ্রাম কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল একদিকে গলসি আরেক দিকে বর্ধমানের সঙ্গে। 

তিনি জানিয়েছেন, অবিলম্বে এই সেতুর মেরামতের ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যথায় পাশেই কাঠের সেতু তৈরি করে নিরাপদ যাতায়াতের বন্দোবস্ত করতে হবে। নাহলে এইসমস্ত এলাকার মানুষকে গলসি যেতে গেলে কালনা বলনার ভিতর দিয়ে শিকারপুর হয়ে দরবারপুর ব্রিজে উঠতে হবে। ঘুর পথে শিকারপুর হয়ে প্রায় আধ ঘন্টা দেরিতে গলসী পৌঁছতে হবে। আবার অন্যদিকে বর্ধমানে আসতে গেলে পূর্ব দিকের সাঁকো ব্রিজ ব্যবহার করতে হবে। এতে প্রায় এক ঘন্টা বেশি সময় লাগবে বর্ধমান পৌঁছতে। এদিকে ইতিমধ্যেই ভাঙা ব্রিজ মেরামতের কাজ শুরু করেছে সেচ দপ্তর বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});