Headlines
Loading...
বর্ধমান জেলায় প্রতিদিন গড়ে ১জন করে মারা যাচ্ছেন করোনায়, হেলদোল নেই সাধারণ নাগরিক থেকে প্রশাসনের

বর্ধমান জেলায় প্রতিদিন গড়ে ১জন করে মারা যাচ্ছেন করোনায়, হেলদোল নেই সাধারণ নাগরিক থেকে প্রশাসনের


ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: একদিকে টানা চলছে ভোট উৎসব আর অন্যদিকে পাল্লা দিয়ে উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে মহামারী কোভিড সংক্রমণ। দুরদার করে গ্রাস করছে মানবজীবনকে। পূর্ব বর্ধমানে কিন্তু এখনও কোনো হেলদোল নেই জেলা প্রশাসনের। দায়সারা একটি প্রচার মাত্র চলতি করোনা সংক্রমণের ক্ষেত্রে প্রশাসনিক পদক্ষেপ। অথচ পরিস্থিতি এতটাই ভয়ানক হয়ে উঠছে যে মৃত্যু মিছিল দোরগোড়ায় এসে দাঁড়াতে চলেছে। খোদ জেলা প্রশাসনের দেওয়া হিসাব অনুসারে চলতি এপ্রিল মাসের ৫ তারিথ থেকে ২৬ তারিখ পর্যন্ত কেবলমাত্র বর্ধমান পুর এলাকায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৪২০জন। 


গোটা পূর্ব বর্ধমান জেলায় করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মিলিয়ে সোমবার পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৫৮৪জন। পাশপাশি ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়েছেন ১২ হাজার ৭২৭ জন। আর এই পরিসংখ্যানের পাশাপাশি পূর্ব বর্ধমান জেলায় ৫ এপ্রিল থেকে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩৬৬৬ জন। সরকারি হিসেবে মারা গেছেন ২০ এপ্রিল থেকে ২৬ এপ্রিল এই ৭ দিনে ১১ জন। বেসরকারি হিসেবে এই সংখ্যা অনেক বেশি। অর্থাৎ প্রতিদিনই গড়ে একজনের বেশি মারা যাচ্ছেন। সোমবার গোটা জেলায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪২৫ জন। বর্ধমান শহরে এই সংখ্যা ১৬০জন। 


সরকারী পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শহরাঞ্চলে যেখানকার বাসিন্দাদের অধিকতর সচেতন, তুলনামূলক শিক্ষিত বলে ধরে নেওয়া হয় সেই শহরাঞ্চল তথা বর্ধমান পুরসভায় করোনা সংক্রমণের হার জেলায় সবথেকে বেশি। অথচ পুরসভার পক্ষ থেকে কিছু সচেতনতামূলক হোর্ডিং, ব্যানার, মাইকিং ছাড়া অন্য কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। পুরসভার পক্ষ থেকে শহরের ব্যবসায়ীদের নিয়ে বৈঠক করে তাদের হাতে দায়িত্ব সঁপে দিলেও গোটা বাজারে মাস্ক ছাড়াই চলছে দেদার কেনাকাটা। সামাজিক দূরত্ববিধি শিকেয় উঠেছে। আবার বর্ধমান জেলা ব্যবসায়ী সুরক্ষা সমিতির পক্ষ থেকে শহর জুড়ে ট্যাবলো দিয়ে নাগরিক সচেতনতা বৃদ্ধির চেষ্টা করা হলেও গ্রামাঞ্চলে এই প্রচার প্রায় নেই বললেই চলে। গোটা জেলার গ্রামাঞ্চলগুলিতে আনলক পর্যায়ের মতই চলছে মেলামেশা। ফলে আগামী দিনে জেলায় করোনা সংক্রমণের হার কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা নিয়েই ক্রমশ আতংক বাড়ছে। 


শুধু তাই নয়, করোনার প্রথম পর্বে যাঁরা আক্রান্ত হচ্ছিলেন তাঁদের কার্যত একঘরে করে রেখে গোষ্ঠী সংক্রমণ ঠেকানোর চেষ্টা হয়েছিল। ঘিরে দেওয়া হয়েছিল সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বাড়িও। আর এই ধরণের ঘিরে দেওয়াকে ঘিরে তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা রীতিমত শোরগোল তুলে দিয়েছিলেন। বাঁশ দিয়ে আক্রান্তের বাড়ি ঘিরে দেওয়া নিয়ে প্রবল আপত্তি তুলেছিলেন তাঁরা। যদিও করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সেই সমস্ত তথাকথিত বুদ্ধিজীবীদের রাস্তায় দেখা মিলছে না। পাড়ায় পাড়ায় আক্রান্ত এলাকায় স্যানিটাইজেশনও করা হচ্ছে না। ফলে করোনার এই দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে রীতিমত চিন্তিত সাধারণ মানুষ।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});