Headlines
Loading...
পূর্ব বর্ধমানে পঞ্চায়েতের প্যাডে দেওয়া হচ্ছে বালি মজুদ করার অনুমতি, তদন্তে নামছে প্রশাসন

পূর্ব বর্ধমানে পঞ্চায়েতের প্যাডে দেওয়া হচ্ছে বালি মজুদ করার অনুমতি, তদন্তে নামছে প্রশাসন


ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: পূর্ব বর্ধমান জেলায় রাজ্যের যেকোন প্রান্ত থেকে বালির গাড়ি যাতায়াতে আর কোন বিধিনিষেধ নেই - মঙ্গলবার জেলাশাসক বিজয় ভারতী এই ব্যাপারে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, এই রাজ্যে বর্ষা কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হবে। আর তার আগে নির্মান কাজে ব্যবহারের জন্য পর্যাপ্ত বালি মজুদ করা এবং রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে নির্মাণ কাজের জন্য বালি পৌঁছে যাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। 

জেলাশাসক জানিয়েছেন, বর্ষা শুরুর আগেই প্রতিবছর নদ-নদী থেকে বালি তোলার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। সেইমতো জুন মাসের মাঝামাঝি থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত নদী থেকে বালি তোলা যায় না। যদিও  সরকারি বা বেসরকারি নির্মাণ কাজ এই সময় বন্ধ থাকে না। তাই বর্ষার আগে যেকদিন সময় আছে প্রশাসনের নির্দিষ্ট অনুমতি নিয়ে বালি মজুদ করা যাবে। এক্ষেত্রে পুলিশ,পঞ্চায়েত বা অন্য কোনো দপ্তরের অনুমতি কার্যকর হবে না। এমনকি বৈধ হিসেবেও গণ্য করা হবে না। জেলাশাসক এও জানিয়েছেন, যদি এই ধরণের কোন অভিযোগ আসে সেক্ষেত্রে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।

এদিকে গলসি থানার গলসি-১ পঞ্চায়েত সমিতির লোয়া রামগোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে বালি মজুদ করার জন্য অনুমতি দেওয়া কে কেন্দ্র করে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। পঞ্চায়েতের পাঁচ নং ফর্মে পাঁচশো টাকার রশিদ কেটে বালি মজুদ করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। সেখানে নির্দিষ্ট করে লিখে দেওয়া হচ্ছে- বালি তোলার এরিয়া, মৌজা, জিএল নং, ইত্যাদি। এমনকি সেই রশিদে প্রধানের স্বাক্ষরও থাকছে। আর এখানেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। 

যেখানে খোদ জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি ও ভূমি রাজস্ব) শশীভূষণ চৌধুরী জানাচ্ছেন, জেলাশাসকের অনুমতি ছাড়া কেউ বালি মজুদ করার অনুমতি দিতে পারেন না, সেখানে পঞ্চায়েত প্রধান কিভাবে এই অনুমতি দিলেন তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। যদিও ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে। 
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});