Headlines
Loading...
অবৈধ বালি পাচার, জেলাশাসকের আচমকা হানা, আটক ৭৪টি লরী, তীব্র চাঞ্চল্য গলসী জুড়ে

অবৈধ বালি পাচার, জেলাশাসকের আচমকা হানা, আটক ৭৪টি লরী, তীব্র চাঞ্চল্য গলসী জুড়ে


ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: অভিযোগ উঠছিলই, আর নিজেই সেই অভিযোগের সত্যতা পেলেন পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক বিজয় ভারতী। শুক্রবার রাতে আচমকাই অবৈধ বালিখাদান এবং ওভারলোর্ডিং বালি পাচারের ঘটনায় ৭৪টি লরীকে আটক করলেন খোদ পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক বিজয় ভারতী। শুক্রবার গলসী ১ ও গলসী ২ অঞ্চলের সরকারী সহায়ক মূল্যে ধান কেনা সংক্রান্ত উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক সেরে রাতে বর্ধমান ফেরার পথে জেলাশাসক সহ জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা গলসী ১ অঞ্চলের শিল্যাঘাট এলাকায় যান। সেখানে তাঁরা কিছু অবৈধ ও বৈধ বালিখাদান ঘুরে দেখেন।

জেলাশাসক জানিয়েছেন, শিল্যাঘাটের বেশ কিছু ঘাটের বরাত দিয়েছে বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন। কিন্তু বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন বালিঘাট চালানোর অনুমতি দিলেও ঘাট থেকে বালি তুলে গলসী তথা পূর্ব বর্ধমান জেলার ওপর দিয়েই সেগুলি যাতায়াত করছে। জেলাশাসক জানিয়েছেন, এদিন পুরষা মোড়ের কাছে ২নং জাতীয় সড়কে ১৭টি গাড়িকে ওভারলোর্ডিং-এর জন্য আটক করা হয়। এই ঘটনায় গাড়ি চালকরা পালিয়েও যান। পরিবর্তে জেলা প্রশাসন চালক নিয়ে গিয়ে ওই গাড়িগুলিকে আটক করে নিয়ে আসে নবাবহাট ট্রাক টার্মিনাসে। 

জেলাশাসক জানিয়েছেন, ১৭টি গাড়ি থেকে প্রায় ৭ লক্ষাধিক টাকা জরিমানা তথা রেভিন্যু আদায় করা হয়েছে। অপরদিকে, যেভাবে বালির কারবার চলছে, তাতে সব থেকে ক্ষতি হচ্ছে রাস্তা ঘাটের এমনকি ব্রীজের সঙ্গে খোদ দামোদরের বাঁধের। বাঁধ কেটে তৈরী হচ্ছে রাস্তা। ফলে বিপদ ক্রমশই ঘনিয়ে আসছে। আর এই ঘটনায় এবার কড়া পদক্ষেপ নেবার কথা ঘোষণা করেছেন পুর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক বিজয় ভারতী। 
তিনি জানিয়েছেন, অবৈধ বালি পাচার নিয়ে তৈরী করা হয়েছে ৮ টি টাস্ক ফোর্স, বসানো হচ্ছে নতুন করে ৪ জায়গায় চেকপোস্ট, লাগানো হচ্ছে সিসিটিভি। নজর দারীর জন্য কেনা হচ্ছে ড্রোণ। 

উল্লেখ্য, পুর্ব বর্ধমান জেলার বিশেষত দামোদরের বালি পাচার নিয়ে রীতিমত সরব হয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। দফায় দফায় বর্ধমান জেলায় প্রশাসনিক বৈঠক করতে এসে অবৈধ বালি পাচার রোখার জন্য কড়া নির্দেশও দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর সেই নির্দেশ পালন করতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন প্রশাসনিক কর্তারাও। কিন্তু ধীরে ধীরে সেই কড়া ফাঁস আলগাও হয়ে যায়। ফলে অবৈধ বালির কারবার বহাল তবিয়তে চলতেই থাকে। দীর্ঘদিন পর আচমকা এই হানাদারির ঘটনায় রীতিমত আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে গলসী অঞ্চল জুড়ে। এদিকে জেলা প্রশাসনের এই আচমকা অভিযানে রীতিমতো নড়েচড়ে বসেছে দক্ষিণ দামোদর তথা রায়না, খন্ডঘোষ,জামালপুরের একাধিক অবৈধ বালি কারবারীরা। 
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});