Headlines
Loading...
চলাচল অযোগ্য রাস্তা, বর্ধমানের ভাতারে রাস্তায় ধান রুইয়ে প্রতিবাদ গ্রামবাসীদের

চলাচল অযোগ্য রাস্তা, বর্ধমানের ভাতারে রাস্তায় ধান রুইয়ে প্রতিবাদ গ্রামবাসীদের



ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমানঃ চাষের জমি না যাতায়াতের রাস্তা এই ঘোর বর্ষায় তা বোঝাই দায়। আর গ্রামের রাস্তার এই বেহাল অবস্থার প্রতিকার চেয়ে রীতিমত অভিনব কায়দায় প্রতিবাদে নামলেন গ্রামের আপামর মানুষ। বারবার স্থানীয় পঞ্চায়েতকে জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি। তাই বাধ্য হয়েই রবিবার রাস্তার ওপর ধানের চারা রোপণ করে প্রতিবাদে মুখর হলেন ভাতার ব্লকের নিত্যানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কালিপাহাড়ি গ্রামের আবালবৃদ্ধবনিতা। সামিল ছিলেন ছাত্রছাত্রী থেকে সাধারণ মানুষও। সকলের উদ্দেশ্য ছিল একটাই - এরপরে যদি চোখ খোলে প্রশাসনিক আধিকারিকদের। 

কার্যত, রবিবার সকালে কালিপাহাড়ি গ্রামের এই রাস্তায় গিয়ে দেখা গেল একমনে বেশ কিছু মানুষ ধানের চারা পুঁতেই চলেছেন। কোনো দিকেই ভ্রুক্ষেপ নেই। সম্প্রতি লাগাতার বৃষ্টির ঘটনায় পূর্ব বর্ধমান জেলায় প্রায় সমস্ত ধানের জমিতেই জোরকদমে চলছে ধান রোয়ার কাজ। ফলে তার থেকে আলাদা করে চেনা যাচ্ছিল না এদিন গ্রামের মানুষের এই প্রতিবাদের চেহারাটা। প্রথম ধাক্কায় মনে হল চাষীরা হয়তো তোড়জোড় করে জমির ধান রোপনের কাজ করছে। কিন্তু একটু পরেই গ্রামের মানুষের প্রতিবাদের সুর শুনেই দেখা গেল ধেনো জমি নয়, আস্ত গ্রামের রাস্তায় ধান রোপন করছেন গ্রামবাসীরা। 

এদিন গ্রামবাসী অনুপম বৈরাগ্য জানিয়েছেন, গত ১০ বছরেও কালিপাহাড়ী গ্রামের কোনো উন্নয়ন হয়নি। রাস্তার কাজও হয়নি। ফলে তাঁরা প্রতিবছর বিশেষ করে বর্ষার সময় চরম ভোগান্তির মুখে পড়েন। রোগীদের হাসপাতাল নিয়ে যাবার জন্য তাদের কোলে তুলে পাশের গ্রাম ঘুরে নিয়ে যেতে হচ্ছে। গ্রামবাসী রিংকু মুখার্জ্জী জানিয়েছেন, কেউ মারা গেলেও মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া যাচ্ছে না। স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা স্কুল যেতে যেতে পারছে না। তাই প্রতিবাদ হিসাবে তাঁরা এদিন ধান রুয়েছেন। প্রয়োজন হলে গোটা রাস্তাকেই তাঁরা পুকুর বানিয়ে মাছ চাষ শুরু করে দেবেন। 

যদিও এদিন গ্রামবাসীদের এই অভিযোগ সম্পর্কে নিত্যানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান জুলফিকার আলি জানিয়েছেন,২০১৮ সালের ১০ সেপ্টেম্বর পঞ্চায়েতের নতুন বোর্ড দায়িত্ব নিলেও বোর্ড গঠন করতে কিছুদিন সময় লেগে যায়। তারপর লোকসভা নির্বাচনের জন্য কাজ করা যায়নি। তিনি জানিয়েছেন, বাৎসরিক কাজের তালিকায় কালিপাহাড়ী গ্রামের রাস্তাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই টেণ্ডার ডাকা হয়ে গেছে। কিন্তু পঞ্চায়েতে কোনো টেকনিক্যাল স্টাফ না থাকায় তাঁরা কাজ শুরু করতে পারছেন না। এমনকি চলতি বর্ষা মরশুমে পাওয়া যাচ্ছে না বালিও। ফলে বর্ষা না থামলে তাঁরা কাজ শুরু করতে পারছেন না।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});