ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: পুলিশ সুপারের স্বাক্ষর ও সিলমোহর জাল করে সিভিক ভলান্টিয়ারের ভুয়ো নিয়োগপত্র দেবার অভিযোগে এক কনস্টেবল সহ দুজনকে গ্রেপ্তার করল বর্ধমান সদর থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম হরেন্দ্র পাণ্ডে এবং গোপাল সিংহ। এর মধ্যে হরেন্দ্র পাণ্ডে বর্তমানে ট্রাফিক পুলিশে কর্মরত। বৃহস্পতিবার ধৃত ২জনকে বর্ধমান আদালতে তুলে পুলিশী হেফাজতে নেবার আবেদন জানানো হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বর্ধমানের দেওয়ানদিঘী থানার জিয়াড়া গ্রামের বাসিন্দা অমর হাজরার কাছ থেকে সিভিক ভলান্টিয়ারের কাজ পাইয়ে দেবার নাম করে তিন দফায় মোট ৫০ হাজার টাকা নেয় ধৃত কনস্টেবল ও তার সাগরেদ। টাকার বিনিময়ে তাকে দেওয়া হয় এসপির সই করা জাল নিয়োগপত্র। সেই অনুযায়ী তাকে প্রায় ৩ মাস ধরে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ডিউটিও করানো হয় বলে অভিযোগ। এমনকি তাকে প্রশিক্ষণে পাঠানো হচ্ছে আরও একটি ভূয়ো কাগজপত্রও দেওয়া হয়। এদিকে, দীর্ঘদিন কাজ করার পরও কোনো বেতন না মেলায় সন্দেহ হওয়ায় অমর হাজরা ঊর্ধ্বতন আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আর তখনই অমরবাবু জানতে পারেন তার নিয়োগপত্রটিই সম্পূর্ণ জাল।
এরপরই তিনি বর্ধমান থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। বৃহস্পতিবার বর্ধমান সদর থানার পুলিশ অভিযুক্ত কনস্টেবল ও তার সাগরেদকে গ্রেপ্তার করে। জেলা পুলিশের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে ধৃতদের পুলিশী হেফাজতে নেবার আবেদন জানানো হয়েছে। এভাবে সিভিক ভলেণ্টিয়ারের চাকরী দেবার নাম করে আর কারও ক্ষেত্রে এই ধরণের ঘটনা ঘটেছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।