ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: উত্তেজিত জনতার সঙ্গে ধস্তাধস্তির সময় সার্ভিস রিভলভার খোয়া গেল পুলিশের। শনিবার রাত ১০ টা নাগাদ বর্ধমান রেল স্টেশন সংলগ্ন এলাকার এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল। বিশেষত, আগামী সোমবার বর্ধমানে প্রশাসনিক সভা করতে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার কয়েকঘণ্টা আগেই উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করতে গিয়ে পুলিশের সার্ভিস রিভলবার খোওয়া যাওয়ার ঘটনায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাত্রি প্রায় ১০টা নাগাদ বর্ধমান শহরের বাজেপ্রতাপপুর হরিনারায়ণপুর এলাকার বাসিন্দা বিরজু শর্মা (৪৫) বর্ধমান রেল ওভারব্রিজে সাইকেল নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এই সময় উল্টো দিক থেকে আসা একটি ডাম্পারের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। নিয়ন্ত্রণহীন ডাম্পারের গতির জন্য বিরজু শর্মার মৃত্যুতে গোটা এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। উত্তেজিত জনতা মৃতদেহ রাস্তায় রেখেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। খবর পেয়ে বর্ধমান থানা থেকে ঘটনাস্থলে হাজির হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশের সঙ্গে অবরোধকারীদের রীতিমত ধস্তাধস্তি শুরু হয়। পুলিশ মৃতদেহ তুলতে গেলে তাতে বাধা দেওয়া হয়। এই সময় পুলিশের সঙ্গে উত্তেজিত জনতার ধস্তাধস্তি শুরু হয়। আর এই সময়ই ধীরাজবাবুর কোমড়ে থাকা তাঁর সার্ভিস রিভলবারটি খোওয়া যায়।পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি কনষ্টেবল থেকে এএসআই হয়েছেন ধীরাজ ঘোষ।যদিও কিভাবে তা খোওয়া গেল তা জানা যায়নি। কেউ হাত সাফাই করেছে কিনা তাও পরিষ্কার নয়। এমনকি এদিন রাত পর্যন্ত অনেক খোঁজাখুঁজি করেও মেলেনি পুলিশের ওই সার্ভিস রিভলবারটি।
জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, কিভাবে এই ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একইসঙ্গে খোওয়া যাওয়া রিভলবারের সন্ধানে তাঁরা তদন্ত শুরু করেছেন। এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, কাটোয়ার এই রেলব্রীজের ওপরে আলো না থাকার জন্য প্রায়ই ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটছে। দীর্ঘদিন ধরেই তাঁরা আলোর দাবী জানালেও কোনো সুফল মেলেনি। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃত বিরজু শর্মা এই ওভারব্রীজেই মাল নিয়ে যাওয়া ভ্যান রিক্সাগুলিকে ঠেলে ব্রীজের ওপর তুলে দেবার কাজ করতেন। প্রতিদিনই রাত্রে তিনি বাড়ি ফিরতেন। এদিনও বাড়ি ফেরার পথেই এই দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘাতক ডাম্পারটিকে আটক করলেও চালক পলাতক।