Headlines
Loading...
বর্ধমানে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের ওপর তৃণমূলের হামলা,থানা ঘেরাও,অবরোধ। পাল্টা হামলা বিজেপির

বর্ধমানে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের ওপর তৃণমূলের হামলা,থানা ঘেরাও,অবরোধ। পাল্টা হামলা বিজেপির


ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমানঃ বিজেপির পতাকা লাগানো এবং লাড্ডু বিলিকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বর্ধমান শহরের ২৭ ও ২ নং ওয়ার্ডের বাবুরবাগ নার্স কোয়ার্টার এলাকা। প্রথমে বিজেপি সমর্থকদের বাড়ি ভাঙচুর,পুরুষ-মহিলাদের মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃনমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার প্রতিবাদে দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মঙ্গ্বাবার দুপুরে বর্ধমান থানা ঘেরাও করে তুমুল বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। পরে পুলিশি আশ্বাসে বিক্ষোভ উঠলেও উত্তেজিত বিক্ষোভকারীরা এলাকায় ফিরে গিয়ে পাল্টা তৃনমূল সমর্থকদের কয়েকটি দোকানে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। অভিযোগ পুলিশের সামনেই ভাঙচুর চালায় বিজেপির সমর্থকরা। আর এই ঘটনার পরই বিশাল পুলিশ বাহিনি ও র‍্যাফ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উত্তেজিত জনতাকে তাড়া করে সরিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এলাকায় অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগে কয়েকজন কে আটক করেছে পুলিশ। ঈদের আগে রাজনৈতিক সংঘর্ষের এই ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়।


বিজেপির জেলা যুব মোর্চার সভাপতি শ্যামল রায়ের অভিযোগ,মঙ্গলবার সকালে বিজেপির কর্মী সমর্থকরা দ্বিতীয়বারের জন্য বিজেপি কেন্দ্রীয় সরকারে ক্ষমতাসীন হওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে লাড্ডু বিলি করছিলেন। একইসঙ্গে নার্স কোয়ার্টার এলাকায় বিজেপির দলীয় পতাকাও টাঙান। শ্যামল রায়ের অভিযোগ, এদিন সকালে বাথান পাড়ার তৃণমূল সমথর্কেরা ২৭নং ওয়ার্ডের প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলার বসিরউদ্দিন আহমেদ ওরফে বাদশা এবং স্থানীয় তৃণমূল নেতা কানাই মির্জার নেতৃত্বে বিজেপি সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়। বিজেপি সমর্থকদের মারধর ছাড়াও বাড়ি ও দোকান ভাঙচুর করা হয়। হামলার হাত থেকে রেহাই মেলেনি মহিলারাও। এদিকে, এই ঘটনার পরই বিজেপির সমর্থকরা বর্ধমান থানা ঘেরাও করেন। তাঁরা দোষীদের গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে বর্ধমান থানার সামনে রাস্তাও অবরোধ করেন। পরে লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করা হয়।


যদিও এব্যাপারে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি তথা রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দপ্তরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ জানিয়েছেন, তৃণমূল সমর্থকরা কোথাও বিজেপি সমর্থকদের ওপর হামলা চালিয়েছে বলে তিনি কোনো খবর পাননি। তিনি দাবী করেছেন, বিজেপিই জেলা জুড়ে তৃণমূলের ওপর হামলা চালিয়েছে। তৃণমূলের বহু পার্টি অফিস দখল করে নিয়েছে। তিনি জানিয়েছেন,এব্যাপারে জেলা পুলিশ ও প্রশাসনের কাছে তাঁরা তালিকা জমা দিয়েছেন। একইসঙ্গে ঈদের পরই তাঁদের পার্টি অফিস পুনরুদ্ধারের জন্য সর্বশক্তি দিয়ে তাঁরা পথে নামছেন।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});