Headlines
Loading...
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান - বিদ্যাসাগর এবং গান্ধীজীর আদর্শে চলার ডাক দিয়ে গেলেন রাজ্যপাল

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান - বিদ্যাসাগর এবং গান্ধীজীর আদর্শে চলার ডাক দিয়ে গেলেন রাজ্যপাল


ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমানঃ বৃহস্পতিবার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলাপবাগ ক্যাম্পাসে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৭তম সমাবর্তন অনুষ্ঠান উদ্বোধন করতে এসে বিদ্যাসাগর এবং গান্ধীজির জীবন আদর্শকে পাথেয় করে মুক্ত বিহংগের মত বিচরণ করার আবেদন জানিয়ে গেলেন আচার্য কেশরীনাথ ত্রিপাঠি। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল তথা বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসাবে শেষ সমাবর্তনে যোগ দিয়ে তিনি বলেন,চলতি সময়কালে অন লাইনে ভর্তি সহ একাধিক বিষয়কে চালু করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ভাল কাজ করেছেন। এদিন ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে তিনি জানান, শিক্ষা ও গবেষণাকে আরও বাড়াতে হবে যাতে জনগণের কল্যাণ সাধিত হয়।

রাজ্যপাল বলেন,বর্তমানে আমরা ইতিহাসের এক সংকটময় সময়ের মধ্যে দিয়ে চলেছি। বিদ্যাসাগর এবং গান্ধীজির জীবন আদর্শ এবং তাঁদের কর্মধারাকে অনুসরণ করতে হবে। কেবল তাদের জন্মদিন পালন নয়। ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, নিজেদের প্রশ্ন করো তাঁদের মত তোমরা সমাজকে কি দিতে পেরেছে? এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিমাই সাহা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরেন। তিনিও বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রকৃত মানুষ হয়ে ওঠার আবেদন জানান।

সমাবর্তনে দীক্ষান্ত ভাষণ দেন বলেন বিজ্ঞানী রবীন্দ্রনাথ মুখার্জি। এবছর সাহিত্যিক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় ও ক্রীড়াবিদ স্বপ্না বর্মনকে সাম্মানিক ডিলিট প্রদান করা হল। ডি এসসি দেওয়া হয় মুম্বইয়ের টাটা ইন্সটিটিউট অব ফান্ডামেন্টাল রিসার্চের অধ্যাপক মোহন মহারাজ এবং ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ বায়োমেডিক্যাল জেনোমিক্সের অধ্যাপক পার্থপ্রতিম মজুমদারকে। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ৯৮ জন পড়ুয়ার হাতে স্বর্ণপদক তুলে দেওয়া হয়। এ ছাড়াও বিভিন্ন বিভাগের ৫৬ জন পড়ুয়ার হাতে ব্যাক্তিগত-অনুদানের পুরস্কার তুলে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যদিও এবারও সমাবর্তন উৎসবে গড় হাজির ছিলেন রাজ্যের উচ্চশিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এমনকি গতবছরও তিনি সঠিক সময়ে হাজির হননি। এরই পাশাপাশি সমাবর্তন উৎসবে দেখা মেলেনি জেলার নির্বাচিত সাংসদ ও বিধায়কদেরও। নিয়মমাফিক তাঁরাও আমন্ত্রিত থাকেন।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});