Headlines
Loading...
ঈদের আগে বর্ধমানের গোদায় ব্যাপক বোমাবাজি! উত্তেজনা

ঈদের আগে বর্ধমানের গোদায় ব্যাপক বোমাবাজি! উত্তেজনা


ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমানঃ ঈদের আগে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল বর্ধমান পুরসভার ২৬ নং ওয়ার্ডের গোদা এলাকা। তৃণমূলের দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদের জেরে এদিন ব্যাপক বোমাবাজি সহ একটি পরিবারে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের একটি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বর্ধমান থানার পুলিশ সেখ সোনাকে আটক করেছে। 

উল্লেখ্য, গত লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই গোদা এলাকায় নিজেদের ক্ষমতা জাহির করতে তৃণমূলের দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক লড়াই শুরু হয়। ভোটের আগে দুই গোষ্ঠীর লড়াইয়ে বেশ কয়েকজন আহতও হন। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন তৃণমূলের নেতা এলাকা ছড়াও হয়ে পড়েন। ভোটের সময় কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকায় পরিস্থিতি শান্ত হলেও ভোট মিটতেই ফের দুই গোষ্ঠীর লড়াইয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে গোটা এলাকা।

 
গোদার তৃণমূল নেতা খোন্দেকার ফজলুর রহমান জানিয়েছেন, রবিবার গোদায় একটি ইফতার পার্টি আছে। একইসঙ্গে এদিন জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে বর্ধমান টাউন স্কুলেও ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়েছে। এই দুই ইফতার পার্টিতে যোগ দেবার জন্য কয়েকজন যুবককে বাড়ি বাড়ি নিমন্ত্রণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। শনিবার থেকেই তাঁরা গোটা এলাকায় এই ইফতার পার্টিতে যাবার জন্য বাড়ি বাড়ি ঘুরছিলেন। কয়েকদিন আগে জেল থেকে ছাড়া পান এলাকার তৃণমূল নেতা কাঞ্চন গোষ্ঠীর লোক হিসাবে পরিচিত সেখ রাজেশ। অভিযোগ, শনিবারই সেখ রাজেশের নেতৃত্বে কয়েকজন ওই যুবকদের হুমকি এবং শাসানি দেয়। এব্যাপারে বর্ধমান পুরসভার প্রাক্তন উপপুরপতি তথা গোদার প্রাক্তন কাউন্সিলার খোন্দেকার মহম্মদ সাহিদুল্লাহ ওরফে ফুকু মাষ্টার শনিবার রাতেই বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করতে পাঠান সেখ আরজন নামে এক তৃণমূল নেতাকে। রবিবার সেখ আরজান বর্ধমান থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে যান। আর তার জেরেই রবিবার সকালে সেখ আরজানের বাড়িতে ব্যাপক বোমাবাজি করে সেখ রাজেশের নেতৃত্বে লোকজন। 

এই সময় তাঁরা সেখ আরজান সহ তার বাড়ির লোকজন এবং মহিলাদেরও ব্যাপক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা দেখা দিলে ঘটনাস্থলে হাজির হয় বর্ধমান থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। এই সময় এলাকাবাসীরাই সেখ সোনা নামে একজনকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতা কাঞ্চন কাজি। তিনি জানিয়েছেন, গোদায় কোথাও কোনো গোষ্ঠীবাজি নেই। এদিন সকালে দুটি বাচ্চা ছেলে পটকা ফোটায়। তার জেরেই সাময়িক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। তিনি জানিয়েছেন, যদি কেউ অশান্তি করে তাদের ছাড়া হবে না। যদিও গোদার বাসিন্দাদের দাবী, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর থেকেই গোদা এলাকার ক্ষমতা নিজের অনুকূলে আনার জন্য তৃণমূলের একটি গোষ্ঠী লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। আর তার জেরেই চলছে দফায় দফায় সংঘর্ষ। এদিকে লোকসভা ভোটে তৃনমূলের ফল খারাপ হওয়ার পর থেকেই কাঞ্চন কাজীর দল বদলের সম্ভাবনা তৈরি হওয়ায় এই ধরনের উত্তেজনা ঘন ঘন হচ্ছে বলে এলাকার মানুষের একাংশের দাবী।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});