সৌরীশ দে,বর্ধমানঃ অনাথ শিশুর দত্তক নেওয়া কিম্বা অধুনা চিড়িয়াখানাগুলো থেকে নানান পশু পক্ষী দত্তক নেওয়ার কথা আমরা প্রায়ই শুনে থাকি। এবার থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত এক ৪ বছরের শিশুর আগামি দু বছরের রক্তের প্রয়োজনীয়তা মেটানোর গুরুদায়িত্ব কাঁধে তুলে নিলো পূর্ব বর্ধমানের
মেমারীর পাল্লারোড পল্লীমঙ্গল সমিতি এবং রেয়ার ব্লাড গ্রুপ নামে দুটি সংস্থা। আগামী ২ বছর প্রতি মাসে ১ইউনিট তথা ১ বোতল করে রক্ত এই শিশু কে দেবার দায়িত্ব তুলে নিয়েছে এই দুই সংস্থা। অভিনব এই মানবিকতার ঘটনায় খুশী শিশুটির পরিবার ও সাধারণ মানুষ।
মেমারীর পাল্লারোড পল্লীমঙ্গল সমিতি এবং রেয়ার ব্লাড গ্রুপ নামে দুটি সংস্থা। আগামী ২ বছর প্রতি মাসে ১ইউনিট তথা ১ বোতল করে রক্ত এই শিশু কে দেবার দায়িত্ব তুলে নিয়েছে এই দুই সংস্থা। অভিনব এই মানবিকতার ঘটনায় খুশী শিশুটির পরিবার ও সাধারণ মানুষ।
দুটি সংস্থার পক্ষ থেকে জানা গেছে,নীললোহিত দে জন্মের পরই থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত হয়। পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার রানাপাড়ার বাসিন্দা ৪ বছরের নীললোহিত দে-র থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত হবার পর তার চিকিত্সা করাতে অসহায় অবস্থা তার বাবা মায়ের। শিশুটির প্রতি মাসে ১ইউনিট তথা ১ বোতল করে রক্তের প্রয়োজন হয়। বাবা কুন্তল দে জানিয়েছেন,আগামী ২ বছর নীলকে অবিচ্ছিন্নভাবে রক্ত দেওয়া গেলে তার চিকিৎসার সুযোগ পাওয়া যাবে। কিন্তু ছোট্ট শিশুর এই চিকিৎসা করাতে গিয়ে তাঁদের আর্থিক অবস্থা শোচনীয় হয়ে উঠেছে। এই অবস্থায় এই দুটি সংস্থা এগিয়ে আসায় মানবিকতার নজীর তৈরী হয়েছে।
উল্লেখ্য, দিন দুয়েক আগে এই দুটি সংস্থা সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ঘোষণা করেন, ১২মাসে ১২জন থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত বাচ্ছার দত্তক নেবেন তাঁরা। শনিবার সেই ঘোষণা অনুযায়ী বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। এদিন ৩৪জন স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন। সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে বছরে ১২ বোতল রক্ত দরকার নীলের। যেহেতু এক বোতল রক্তের মেয়াদ ১বছর থাকে। তাই বাকি রক্ত দিয়ে তাঁরা আরও থ্যালাসেমিয়া শিশুর চিকিৎসার সুযোগ করে দিতে পারবেন।
এদিন পল্লীমঙ্গল সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২০১৬ সাল থেকে প্রত্যেক বছর একাধিক স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির করে থাকেন তাঁরা। আনুমানিক ১৫০ থেকে ২০০জন রক্ত সংগৃহিত হয় ক্যাম্পগুলি থেকে। ফলে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুদের রক্তের জন্য দত্তক নেওয়ায় রক্তের কোনো অভাব হওয়ার কথা নয় – এমনটাই মনে করছেন তাঁরা।