ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমানঃ অন্য পুরুষের সঙ্গে স্ত্রীর সম্পর্ক রয়েছে এই সন্দেহের বশে স্ত্রীকে খুন করে প্রমাণ লোপাট করার দায়ে পঞ্চায়েত কর্মী স্বামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল বর্ধমান আদালতের বিচারক জেলা জজ মহম্মদ সাব্বির রশিদি।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ৯ সেপ্টেম্বর খুন হয় মেমারীর আমাদপুর গ্রামের বাসিন্দা মংলী হেমব্রম। দু'দিন নিখোঁজ থাকার পর মেমারী পাহাড়হাটি রোডের গোলাপমুনির কাছে কালভার্টের নীচ থেকে পুলিশ রক্তাক্ত মংলী হেমব্রমের মৃতদেহ উদ্ধার করে। ঘটনাস্থল থেকে মেমারী থানার পুলিশ একটি ব্লেড উদ্ধার করে। মংলী হেমব্রমের ছেলে সুকুমার হেমব্রমের অভিযোগের পরিপেক্ষিতে পুলিশ তদন্তে নামে। তদন্তে নেমে মংলীর স্বামী ভগীরথ হেব্ররমকে গ্রেপ্তার করে। পরে বাড়ি থেকে পুলিশ একটি কাটারী উদ্ধার করে। পুলিশী জেরায় ভগীরথ স্ত্রী মংলীকে খুনের কথা কবুল করে। ব্লেড ও কাটারী দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে খুন করা হয়েছে বলে সে জানায়।
অন্য পুরুষের সঙ্গে মংলীর সম্পর্ক ছিল এই সন্দেহের বশেই স্ত্রীকে প্ররিকল্পনা করে ঠাণ্ডা মাথায় খুন করে ভগীরথ। বৃহস্পতিবার বর্ধমান আদালতের বিচারক মহম্মদ সাব্বির রশিদি তাকে দোষী সাবাস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন। যদিও ভগীরথ হেমব্রমের আইনজীবী রামগোপাল মজুমদার জানিয়েছেন, এই রায়ে অনেক অসঙ্গতি রয়েছে। তাঁরা উচ্চ আদালতে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন।