ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমানঃ ভোটের ফলাফল পরবর্তী বিজেপি তৃণমূল সংঘর্ষ অব্যাহতই।খণ্ডঘোষ থানার বয়দা গ্রামে এক তৃণমূল সমর্থকের বাড়িতে ভাঙচুর ও মারধরের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৪ জন বিজেপি সমর্থককে গ্রেপ্তার করল খণ্ডঘোষ থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম সমীর রায়, মিঠুন রায়,কালীপদ রায় ও হারাধন রায়। খণ্ডঘোষ থানার কালনা গ্রামে সমীর রায়ের বাড়ি। বাকিদের বাড়ি বয়দা গ্রামে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যায় কয়েকজন বিজেপি সমর্থক বয়দা গ্রামে তৃণমূল সমর্থক উদয় চাঁদ রায়ের বাড়িতে হামলা চালায়। বাড়িতে ঢুকে উদয় চাঁদ ও তাঁর স্ত্রীকে লাঠি, শাবল প্রভৃতি দিয়ে মারধর করে। উদয় চাঁদের খুড়তুতো ভাইয়ের স্ত্রীকেও মারধর করা হয়। একটি বাইক ভেঙে দেওয়া হয়। বাড়ির অ্যাসবেসটসের চাল সম্পূর্ণ ভেঙে দেয় হামলাকারীরা। রাতেই ঘটনার কথা জানিয়ে উদয়চাঁদ খণ্ডঘোষ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরই শনিবার রাতে ৪জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রবিবার ধৃতদের বর্ধমান আদালতে তোলা হলে আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত তাদের জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন ভারপ্রাপ্ত সিজেএম কল্লোল ঘোষ।
অপরদিকে, শনিবার রাতে বর্ধমান শহরের তিনকোণিয়া বাসস্ট্যাণ্ড এলাকায় এক লটারির টিকিট বিক্রেতা তথা তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ এজেণ্ট সনত বলকে দোকান থেকে বার করে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। একইসঙ্গে তাঁর দোকানে থাকা প্রায় ৩ লক্ষ টাকা লুঠপাটেরও অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। সনত বলের অভিযোগ, শনিবার রাতে তিনি যখন দোকানে টিকিট বিক্রির টাকা মেলাতে ব্যস্ত ছিলেন সেই সময় একদল বিজেপি সমর্থক মুখে গামছা বেঁধে দোকান থেকে তাঁকে টেনে বার করে বাঁশ, লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। রাতেই তিনি বর্ধমান থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অন্যদিকে, শনিবার রাতে বর্ধমান শহরের ৬নং ওয়ার্ডে দুটি তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিস বিজেপি দখল করায় তীব্র উত্তেজনা দেখা দেয়। ৬নং ওয়ার্ডের প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলার মহম্মদ সেলিম জানিয়েছেন, ৬নং ওয়ার্ডের খালাসি পাড়া এবং কালনা গেটে দুটি তৃণমূল পার্টি অফিসের তালা ভেঙে সেখানে বিজেপির পতাকা টাঙিয়ে দিয়ে নিজেরা আলাদা তালা মেরে দেয়। তিনি জানিয়েছেন, ৬নং ওয়ার্ডে বেশ কয়েকটি পার্টি অফিস রয়েছে। তার মধ্য কয়েকটি নিয়মিত খোলা হয় না। সেইরকমই দুটি পার্টি অফিস দখল করার চেষ্টা করে বিজেপি সমর্থকরা। তাঁরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হলে বিজেপি সমর্থকরা পালিয়ে যায়। এদিকে, দুপক্ষের মধ্যে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে হাজির হয়।
এদিকে, গোটা জেলা জুড়েই তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ এবং তৃণমূলের পার্টি অফিস বিজেপি দখল করে নেওয়ার ঘটনা সম্পর্কে বিজেপির জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দী জানিয়েছেন, এই ধরণের ঘটনায় বিজেপির দলীয় কোনো অনুমোদন নেই। তাঁরা ইতিমধ্যেই এই ধরণের ঘটনায় পুলিশ ও প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবার নির্দেশ দিয়েছেন।
অপরদিকে, শনিবার রাতে বর্ধমান শহরের তিনকোণিয়া বাসস্ট্যাণ্ড এলাকায় এক লটারির টিকিট বিক্রেতা তথা তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ এজেণ্ট সনত বলকে দোকান থেকে বার করে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। একইসঙ্গে তাঁর দোকানে থাকা প্রায় ৩ লক্ষ টাকা লুঠপাটেরও অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। সনত বলের অভিযোগ, শনিবার রাতে তিনি যখন দোকানে টিকিট বিক্রির টাকা মেলাতে ব্যস্ত ছিলেন সেই সময় একদল বিজেপি সমর্থক মুখে গামছা বেঁধে দোকান থেকে তাঁকে টেনে বার করে বাঁশ, লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। রাতেই তিনি বর্ধমান থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অন্যদিকে, শনিবার রাতে বর্ধমান শহরের ৬নং ওয়ার্ডে দুটি তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিস বিজেপি দখল করায় তীব্র উত্তেজনা দেখা দেয়। ৬নং ওয়ার্ডের প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলার মহম্মদ সেলিম জানিয়েছেন, ৬নং ওয়ার্ডের খালাসি পাড়া এবং কালনা গেটে দুটি তৃণমূল পার্টি অফিসের তালা ভেঙে সেখানে বিজেপির পতাকা টাঙিয়ে দিয়ে নিজেরা আলাদা তালা মেরে দেয়। তিনি জানিয়েছেন, ৬নং ওয়ার্ডে বেশ কয়েকটি পার্টি অফিস রয়েছে। তার মধ্য কয়েকটি নিয়মিত খোলা হয় না। সেইরকমই দুটি পার্টি অফিস দখল করার চেষ্টা করে বিজেপি সমর্থকরা। তাঁরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হলে বিজেপি সমর্থকরা পালিয়ে যায়। এদিকে, দুপক্ষের মধ্যে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে হাজির হয়।
এদিকে, গোটা জেলা জুড়েই তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ এবং তৃণমূলের পার্টি অফিস বিজেপি দখল করে নেওয়ার ঘটনা সম্পর্কে বিজেপির জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দী জানিয়েছেন, এই ধরণের ঘটনায় বিজেপির দলীয় কোনো অনুমোদন নেই। তাঁরা ইতিমধ্যেই এই ধরণের ঘটনায় পুলিশ ও প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবার নির্দেশ দিয়েছেন।