ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমানঃ প্রায় ২ মাস ধরে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্যান্সার আক্রান্তদের রশ্মি দেবার ব্রেকি থেরাপি মেশিন খারাপ। বারবার জানিয়েও মেশিন দেখভালকারী সংস্থা সরকারের কাছ থেকে বকেয়া টাকা না পাওয়ায় তারাও মেশিন মেরামত করার জন্য কোনোরকম আগ্রহই দেখাচ্ছেন না। ফলে চুড়ান্ত ভোগান্তি এবং সংকটের মুখে পড়েছেন হাজার হাজার ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীরা। দূর দুরান্ত থেকে চিকিৎসার জন্য আসা রোগীদের হয়রানি বেড়েই চলেছে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। অবাক করা বিষয়, খোদ হাসপাতাল সুত্রেই জানানো হয়েছে যে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শেষ ব্রেক থেরাপি করা হয়েছে গত ১ এপ্রিল। প্রায় ৫ কোটি টাকা খরচ করে জার্মানীর এই মেশিন ২ বছর আগে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চালু হয়।
এই মেশিন দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে হাইটস নামে একটি সংস্থা।
উত্তরবঙ্গের দিনহাটার কৃষিমেলা থেকে মা মিনকি দাসকে নিয়ে এভাবেই হয়রানির শিকার হয়ে পড়েছেন ছেলে সুজন দাস। সুজনবাবুর দাবী, ২ মাস নয়, তিনি প্রায় ৪ মাস ধরে তারিখই পাচ্ছেন, চিকিৎসা নয়। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর মা ওভারীর ক্যান্সারে আক্রান্ত। প্রথমে উত্তরবঙ্গের হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা করানো হয়। সেখানে তাঁকে বাইরে থেকে রে দেওয়ার পর তাঁরা বর্ধমান হাসপাতালে পাঠান আভ্যন্তরীণ রে দেবার জন্য। কিন্তু গত ৪ মাস ধরে তারিখ দেওয়া হলেও আসলে কোনও চিকিৎসাই শুরু হয়নি বর্ধমান হাসপাতালে। সোমবার সুজন বাবু হাসপাতালের দেওয়া নির্দিষ্ট দিনে ফের এলে তাঁকে জানানো হয়, ওই রে দেবার মেশিনটি খারাপ। তাই তাদের এনআরএসে যাবার কথা বলা হয়েছে।
সুজনবাবু জানিয়েছেন, মেশিন খারাপের কথা আগেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিতে পারতেন। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দায়িত্বজ্ঞানহীনতায় তাঁর মায়ের চিকিৎসা হল না গত ৪ মাস ধরে। এদিকে, এ ব্যাপারে হাসপাতাল সুপার ডা উত্পল দাঁ জানিয়েছেন,মেশিন খারাপের বিষয়টি বারবার উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। কার্যত প্রতিদিনই এব্যাপারে অসুবিধার কথা জানানো হচ্ছে ওয়েষ্ট বেঙ্গল মেডিকেল সার্ভিস কর্পোরেশন সহ হাইটসকে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট সংস্থাটি কোনোভাবেই গা করছে না। তিনি স্বীকার করেছেন, এর ফলে রোগীদের সমস্যা বাড়ছে।
উল্লেখ্য, এই মেশিনে গড়ে প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ জন রোগীকে রে দেওয়া হয়। বর্ধমান ছাড়া এই উন্নতমানের মেশিন রয়েছে কলকাতা মেডিকেল কলেজ, এনআরএস, আরজিকরে। প্রতি বছর গড়ে প্রায় আড়াই হাজার নতুন ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে আসেন চিকিত্সা করাতে। ২০০৮ সাল থেকে গড়ে প্রায় ১৬ হাজার ক্যান্সার রোগীর চিকিত্সা চলছে। ইতিমধ্যেই ৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ সংলগ্ন এলাকায় তৈরী হচ্ছে পৃথক ক্যান্সার ইউনিট। এদিকে, খোদ হাইটসের জোনাল আধিকারিক অভিষেক গুপ্তা জানিয়েছেন,বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওই মেশিনটি দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কির্লোস্কার নামে একটি সংস্থাকে। কিন্তু সেই সংস্থা ওই মেশিন বসানো বাবদ ১০ শতাংশ টাকা এখনও পায়নি। তাই তারা দেখভাল করার ক্ষেত্রে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। এদিকে কোম্পানি আর হাসপাতাল কত্রিপক্ষের টানাপড়েনে কান্সারের মতো রোগে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা প্রায় লাটে ওঠার পথে বর্ধমানে।
এই মেশিন দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে হাইটস নামে একটি সংস্থা।
উত্তরবঙ্গের দিনহাটার কৃষিমেলা থেকে মা মিনকি দাসকে নিয়ে এভাবেই হয়রানির শিকার হয়ে পড়েছেন ছেলে সুজন দাস। সুজনবাবুর দাবী, ২ মাস নয়, তিনি প্রায় ৪ মাস ধরে তারিখই পাচ্ছেন, চিকিৎসা নয়। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর মা ওভারীর ক্যান্সারে আক্রান্ত। প্রথমে উত্তরবঙ্গের হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা করানো হয়। সেখানে তাঁকে বাইরে থেকে রে দেওয়ার পর তাঁরা বর্ধমান হাসপাতালে পাঠান আভ্যন্তরীণ রে দেবার জন্য। কিন্তু গত ৪ মাস ধরে তারিখ দেওয়া হলেও আসলে কোনও চিকিৎসাই শুরু হয়নি বর্ধমান হাসপাতালে। সোমবার সুজন বাবু হাসপাতালের দেওয়া নির্দিষ্ট দিনে ফের এলে তাঁকে জানানো হয়, ওই রে দেবার মেশিনটি খারাপ। তাই তাদের এনআরএসে যাবার কথা বলা হয়েছে।
সুজনবাবু জানিয়েছেন, মেশিন খারাপের কথা আগেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিতে পারতেন। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দায়িত্বজ্ঞানহীনতায় তাঁর মায়ের চিকিৎসা হল না গত ৪ মাস ধরে। এদিকে, এ ব্যাপারে হাসপাতাল সুপার ডা উত্পল দাঁ জানিয়েছেন,মেশিন খারাপের বিষয়টি বারবার উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। কার্যত প্রতিদিনই এব্যাপারে অসুবিধার কথা জানানো হচ্ছে ওয়েষ্ট বেঙ্গল মেডিকেল সার্ভিস কর্পোরেশন সহ হাইটসকে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট সংস্থাটি কোনোভাবেই গা করছে না। তিনি স্বীকার করেছেন, এর ফলে রোগীদের সমস্যা বাড়ছে।
উল্লেখ্য, এই মেশিনে গড়ে প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ জন রোগীকে রে দেওয়া হয়। বর্ধমান ছাড়া এই উন্নতমানের মেশিন রয়েছে কলকাতা মেডিকেল কলেজ, এনআরএস, আরজিকরে। প্রতি বছর গড়ে প্রায় আড়াই হাজার নতুন ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে আসেন চিকিত্সা করাতে। ২০০৮ সাল থেকে গড়ে প্রায় ১৬ হাজার ক্যান্সার রোগীর চিকিত্সা চলছে। ইতিমধ্যেই ৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ সংলগ্ন এলাকায় তৈরী হচ্ছে পৃথক ক্যান্সার ইউনিট। এদিকে, খোদ হাইটসের জোনাল আধিকারিক অভিষেক গুপ্তা জানিয়েছেন,বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওই মেশিনটি দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কির্লোস্কার নামে একটি সংস্থাকে। কিন্তু সেই সংস্থা ওই মেশিন বসানো বাবদ ১০ শতাংশ টাকা এখনও পায়নি। তাই তারা দেখভাল করার ক্ষেত্রে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। এদিকে কোম্পানি আর হাসপাতাল কত্রিপক্ষের টানাপড়েনে কান্সারের মতো রোগে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা প্রায় লাটে ওঠার পথে বর্ধমানে।