ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমানঃ শুক্রবার বীরভূমের ময়ুরেশ্বর থানার ধর্মরাজতলা পাড়ায় হরিনাম সংকীর্তনের আসরে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে তীরবিদ্ধ বিজেপি সমর্থক সন্তোষ সেনের ঝুঁকিপূর্ণ অপারেশন করা হল বর্ধমানের অনাময় সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। শনিবার রাতেই বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রায় ২০ জনের চিকিৎসকের একটি দল এই সফল অস্ত্রোপচার করলেন। উল্লেখ্য, গুরুতর জখম এবং পিঠে তীরবিদ্ধ অবস্থায় বিজেপি সমর্থক সন্তোষ সেনকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতাল এবং আশঙ্কাজনক অবস্থায় বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ায় শনিবারই বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে তাঁকে কলকাতার পিজিতে স্থানান্তর করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। কিন্তু পরে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা সিদ্ধান্ত বদল করে অনাময় সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালেই সন্তোষবাবুর অপারেশন করার সিদ্ধান্ত নেন। শনিবার রীতিমত ঝুঁকির সঙ্গেই হাসপাতালের অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের টিম সন্তোষবাবুর পিঠ থেকে অস্ত্রোপচার করে তীর বার করেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে সন্তোষ সেনকে অবজারভেশনে রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার রাতে ময়ূরেশ্বরের ধর্মরাজতলা পাড়ায় হরিনাম সংকীর্তনের আসরে জয় শ্রীরাম ধ্বনি দেওয়াকে কেন্দ্র করে তৃণমূল এবং বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ ঘটে। দুপক্ষই তীর ধনুক, লাঠি নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। কৃষ্ণ মণ্ডল নামে এক তৃণমূল সমর্থকদের পানের বরোজে আগুন দেবার অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ময়ূরেশ্বর থানার পুলিশ কয়েকজন তৃণমূল সমর্থককে গ্রেপ্তারও করে।
বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডেপুটি সুপার ডা. অমিতাভ সাহা জানিয়েছেন, সন্তোষবাবুর তীরটি পিঠের দিক দিয়ে ঢুকে হৃদপিণ্ড এবং স্টম্যাকের কাছে চলে আসে। যা রীতিমত বিপদজনক হয়ে গিয়েছিল। যে কোনো মুহূর্তেই রোগীর খারাপ অবস্থা হয়ে যেতে পারত। কার্ডিওসার্জারি, জেনারেল সার্জারি, এনাসথেটিক সব মিলিয়ে প্রায় ২০জনের একটি টিম এই ঝুঁকিপূর্ণ অস্ত্রোপচার করেন। তিনি জানান, ডা. উত্তম মুখার্জ্জী, ডা. আর এন বিশ্বাস, ডা. অসীম দাস, ডা.সৌমেন মণ্ডল প্রমুখ চিকিৎসকদের সহায়তায় এই সফল অস্ত্রোপচার সম্ভব হয়েছে।
