ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমানঃ মাকে অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে বাবার হাতে মার খেয়ে জ্ঞান হারালো মেয়ে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ভর্তি করতে হল বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এই ঘটনায় মায়ের অভিযোগক্রমে পুলিশ শনিবার রাতে গ্রেপ্তার করল বাবা অভিজিত দাসকে। রবিবার ধৃতকে বর্ধমান আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তাঁকে আগামী ৩১ মে পর্যন্ত জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০০২ সালে বর্ধমান শহরের বড়নীলপুর ফুলপুকুর মাঠ এলাকার পুজা ঘোষের সঙ্গে অভিজৎ -এর বিয়ে হয়। বিয়েতে চাহিদামতো পণ দেওয়া হয়েছিল। পুজার একটি বছর পনেরোর মেয়ে আছে। কন্যা সন্তানের জন্মের পর থেকে শ্বশুরবাড়িতে তাঁর উপর নির্যাতন শুরু হয়। তাঁকে মাঝে মধ্যেই মারধর করা হয়। মেয়ের ভবিষ্যতের কথা ভেবে সব অত্যাচার তিনি মুখ বুজে সহ্য করতেন। শনিবার পুজাকে তাঁর স্বামী মারধর করে। মাকে বাঁচাতে যায় মেয়ে। তাকেও মারধর করে বাবা। মারধরে গুরুতর জখম হয় মেয়ে। তার ঘাড়ে চোট লাগে। সে সংঞ্জা হারায়। তাকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভরতি করা হয়। স্বামীর বিরুদ্ধে রাতেই বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেন পুজা। তার ভিত্তিতে বধূ নির্যাতন ও মেরে ফেলার চেষ্টার ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।
