Headlines
Loading...
মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় বর্ধমানের ৩,শহরের নামী স্কুলগুলিকে পিছনে ফেলে এগিয়ে এল বিদ্যার্থী গার্লস

মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় বর্ধমানের ৩,শহরের নামী স্কুলগুলিকে পিছনে ফেলে এগিয়ে এল বিদ্যার্থী গার্লস


ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমানঃ প্রকাশিত হল এবছরের মাধ্যমিকের ফলাফল। আর এবারের এই ফলাফলে কার্যত ধরাশায়ী বর্ধমান শহরের তথাকথিত নামী দামী স্কুল। পরিবর্তে রীতিমত চমকে দিল বর্ধমানের বিদ্যার্থী ভবন গার্লস হাইস্কুল। এবারের প্রকাশিত মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় এই স্কুলের দুই ছাত্রী সাহিত্যিকা ঘোষ ৬৮৫ নাম্বার পেয়ে ষষ্ঠ স্থান এবং অয়ন্তিকা মাজি ৬৮৩ পেয়ে অষ্টম স্থান অধিকার করেছে। এছারাও মেধা তালিকায় দশম স্থান পেয়েছে মেমারী বিদ্যাসাগর মেমোরিয়াল ইনষ্টিটিউশনের ছাত্র সৌম্যদীপ ঘোষ। তার প্রাপ্ত নাম্বার ৬৮১।

এবছরের এই মাধ্যমিকের ফলাফলে বর্ধমান শহরের নামজাদা স্কুলগুলিকে পিছনে ফেলে দিয়ে যেভাবে বিদ্যার্থী ভবন গার্লস হাইস্কুলের ফলাফল উঠে এসেছে তাতে রীতিমত বেজায় খুশী সমগ্র শিক্ষানুরাগী মহল থেকে এই স্কুলের শিক্ষিকারা। বিদ্যার্থী ভবন গার্লস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শর্মিষ্ঠা রায় তা জানিয়েছেন, এবছর মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২৭২। তার মধ্যে ৯০ শতাংশ নাম্বার পেয়েছে ৩৩জন। অন্যদিকে, এবছর শহরের নামী স্কুল বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল গার্লস হাইস্কুল থেকে এবারে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২০৩জন। সর্বোচ্চ ৬৭২ নাম্বার পেয়েছে কর্নাবতি ঘোষ। ৯০ শতাংশের বেশি নাম্বার পেয়েছে ১১জন। শহরের আর এক নামী স্কুল বর্ধমান টাউন স্কুলের মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২৪৩জন। তার মধ্যে পাস করেছে ২৪২জন। সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে সপ্ত শুভ্র মান্না । তার প্রাপ্ত নাম্বার ৬৭৯। বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল বয়েজ হাইস্কুল থেকে এবারে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২০৪ জন। সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে দুই ছাত্র রাহুল অধিকারী ও সায়ন্তন দে। তাদের প্রাপ্ত নাম্বার ৬৭৭। যদিও এই স্কুলের ফলাফলে সন্তুষ্ট নন প্রধান শিক্ষক শম্ভুনাথ চক্রবর্তী। তিনি জানিয়েছেন, এই স্কুলের ৫জন ছাত্র ছিল যারা মেধা তালিকায় ১ থেকে ১০-এর মধ্যে স্থান পাবার যোগ্য। কিন্তু তাদের বাংলায় ৩ থেকে ৪ নম্বর কম এসেছে। তিনি জানিয়েছেন,শুধু স্ক্রুটিনিই নয়, তাঁরা আরটিআই করতে চলেছেন। প্রয়োজন হলে এব্যাপারে মামলাও করবেন তাঁরা।


অপরদিকে, শহরের অপর নামী স্কুল বর্ধমান সিএমএস হাইস্কুল থেকে এবছর ২০৪ জন পরীক্ষা দেয়। তাদের মধ্যে একজন ফেল করেছে। সর্বোচ্চ নম্বরপেয়েছে দুজন ছাত্র অরিত্র পণ্ডিত এবং ইন্দ্রনীল মণ্ডল। তাদের প্রাপ্ত নাম্বার ৬৭৫। এদিকে, এবারের মেধা তালিকায় স্থান পাওয়া সাহিত্যিকা ঘোষ, অয়ন্তিকা মাজি এবং সৌম্যদীপ ঘোষ প্রত্যেকেই জানিয়েছে, ভবিষ্যতে তারা ডাক্তার হতে চায়। ডাক্তার হিসাবে মানুষের সেবা করতে চায় তারা। সাহিত্যিকার পড়াশোনার কোনো বাঁধাধরা সময় ছিল না। মা পার্বতী ঘোষ নার্স, বাবা শক্তিপদ ঘোষ চন্দননগরের একটি স্কুলের শিক্ষক, দাদা মেডিকেলের ছাত্র। ভবিষ্যতে একজন ভাল ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছা সাহিত্যিকার। অন্যদিকে, অয়ন্তিকা গড়ে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা পড়াশোনা করেছে। প্রিয় বিষয় তার অংক। অয়ন্তিকার বাবা অসিত মাঝি নিজে একজন হোমিওপ্যাথ চিকিৎসক। মা কুহেলী নন্দী বর্ধমানের একটি প্রতিবন্ধী স্কুলের শিক্ষিকা। মেমারীর কোলেপাড়ার বাসিন্দা সৌম্যদীপের বাবা স্বপন কুমার ঘোষ নিমো সমবায় সমিতির ম্যানেজার। মা চম্পা ঘোষ গৃহবধু। স্বপনবাবু জানিয়েছেন, সৌম্যদীপ নিজের মত করেই পড়াশোনা করেছে। তাকে কিছু চাপিয়ে দেওয়া হয়নি। প্রতিটি বিষয়ের জন্য ২ ঘণ্টা বরাদ্দ ছিল তার প্রতিদিন। ভবিষ্যতে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন রয়েছে সৌম্যদীপের।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});