Headlines
Loading...
ফের চোলাইয়ের বিরুদ্ধে আবগারী দপ্তরের অভিযান, প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ বর্ধমানে

ফের চোলাইয়ের বিরুদ্ধে আবগারী দপ্তরের অভিযান, প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ বর্ধমানে

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমানঃ
সাত দিনের মধ্যে একই এলাকায় চোলাই মদের বিরুদ্ধে দু দুবার আবগারি দপ্তরের অভিযানে চাঞ্চল্য ছড়াল পূর্ব বর্ধমানের বিজয়রাম এলাকায়। গত বৃহস্পতিবারের পর শনিবার সকালে ফের আচমকা অভিযানে নামে আবগারি দপ্তরের আধিকারিক সহ কর্মীরা। বর্ধমান শহরের বিজয়রাম, কেশরী পাড়া, কুঁড়ে পাড়া প্রভৃতি এলাকায় অবৈধ চোলাই মদের ঠেকে হানা দেওয়া হয়। জেলা আবগারী দপ্তরের সুপার তপন কুমার মাইতি জানিয়েছেন, এদিনের অভিযানে প্রায় ১৬০ লিটার চোলাই মদ নষ্ট করা হয়েছে। পাশাপাশি ২৩ লিটার চোলাই তৈরীর কাঁচামাল নষ্ট করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বেশ কিছু মদ তৈরির উপকরন। গ্রেপ্তার করা হয়েছে চরণ দাস নামে এক ব্যক্তিকেও। তিনি জানান, গত বৃহস্পতিবার এই এলাকায় অভিযান চালানো হয়েছিল। রীতিমত মাটির তলায় বাংকার তৈরী করে সেখানেই লুকিয়ে রাখা হয়েছিল চোলাই মদ। নষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল প্রায় ২২০০ লিটার চোলাই। তপন বাবু জানিয়েছেন, আসন্ন হোলি এবং ভোটের জন্য সমগ্র জেলা জুড়ে এই ধরনের অভিযান লাগাতার চলবে।

এদিকে এদিন চোলাইয়ের বিরুদ্ধে আবগারীর অভিযান চালানোর সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে এক বৃদ্ধার মৃত্যুর অভিযোগ উঠল। মৃতার নাম টুনি দাস (৭১)। বাড়ি বিজয়রাম এলাকাতেই। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায়। এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, শনিবার সকালে আবগারী অভিযান চালায় বেশ কয়েকটি বাড়িতে। শনিবার এলাকার বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, এদিন অভিযান চালানোর সময় বাড়ি বাড়ি ভাঙচুর করার পাশাপাশি মহিলাদেরও মারধর করা হয়। সুমিত্রা দাস নামে এক মহিলার হাত মুচড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। অন্যদিকে, এই অভিযান চালানোর সময় টুনি দাস নামে ওই বৃদ্ধার মৃত্যু হয় বলে দাবী করেছেন মৃতের পরিবারের লোকজন। এই অভিযানের প্রতিবাদ করে বিজয়রাম এলাকায় সকালেই বেশ কিছুক্ষণ বর্ধমান কাটোয়া রোড অবরোধ করেন স্থানীয় মানুষজন। 

যদিও জেলা আবগারী দপ্তরের সুপার তপন কুমার মাইতি তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছেন, কাউকে মারধর করা হয়নি। এমনকি তাদের অভিযানের সময় কেউ মারাও যায় নি। তিনি জানিয়েছেন,তাঁর চোলাইয়ের বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযান চালানোয় এবং সামনেই হোলি তাই হোলির জন্য আগাম চোলাই মজুদে বাধা পেয়েই তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। তপনবাবু এদিন জানিয়েছেন, সুমিত্রা দাস নামে যে মহিলা অত্যাচারের অভিযোগ করছেন, তিনি সম্প্রতি রাজ্য সরকারের বাংলা আবাস যোজনায় ঘর তৈরী করেছেন। সেই ঘরে বসেই তিনি চোলাইয়ের কারবার চালিয়ে যাচ্ছিলেন। সরকার প্রদত্ত ঘরে বসে এই কাজ চালানোর বিষয়ে তাঁকে নিষেধও করা হয়
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});