Headlines
Loading...
বর্ধমানে আদিবাসী যুবতীকে গণধর্ষণের প্রতিবাদে আদিবাসীদের সশস্ত্র বিক্ষোভ, থানা ঘেরাও

বর্ধমানে আদিবাসী যুবতীকে গণধর্ষণের প্রতিবাদে আদিবাসীদের সশস্ত্র বিক্ষোভ, থানা ঘেরাও


ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমানঃ পুর্ব বর্ধমানের দেওয়ানদিঘী থানার জিয়াড়া গ্রামে ১৯ বছরের এক যুবতীকে গণধর্ষণের ঘটনায় আদিবাসী সমাজ দোষীদের ফাঁসির দাবীতে সশস্ত্র অবস্থায় ব্যাপক বিক্ষোভ দেখালো। ঘেরাও করল দেওয়ানদিঘী থানা। সোমবার দুপুর থেকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়। আদিবাসী সমাজের অভিযোগ, এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তদের ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হলেও বাকিরা অধরা। 

এদিন দুপুরে দেওয়ানদিঘী থানার জিয়াড়া গ্রাম থেকে সশস্ত্র আদিবাসি সমাজের পুরুষ-মহিলারা হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে সশস্ত্র অবস্থায় প্রায় দেড় কিমি রাস্তা মিছিল করে হাজির হন দেওয়ানদিঘী থানায়। তাঁদের অভিযোগ, গত বুধবার বিকালে ওই যুবতীর এক বন্ধু তাঁকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর রাত্রি প্রায় ৮ টা নাগাদ কয়েকজন যুবকের হাতে তাঁকে তুলে দেওয়া হয়। এরপর গণ ধর্ষণের শিকার হন ওই যুবতী। রাতেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই যুবতীকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একইসঙ্গে এই ঘটনায় দেওয়ানদিঘী থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর পুলিশ ২ জনকে গ্রেপ্তার করে। 

আদিবাসী সমাজের নেতা ধীরেন মাণ্ডি জানিয়েছেন, এই ঘটনায় মুল চক্রী ওই যুবতীর বন্ধুকে এখনও পুলিশ গ্রেপ্তার করেনি। সোমবার এই ঘটনায় দোষীদের গ্রেপ্তার এবং ফাঁসির দাবীতে দীর্ঘক্ষণ থানা ঘেরাও করে রাখেন তারা। পরে থানায় আসেন ডি এস পি। পরিস্থিতি সামাল দিতে ভাতার থানা থেকেও পুলিশকে নিয়ে আসা হয়। আদিবাসী সমাজের পক্ষ থেকে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে এদিন ডেপুটি পুলিশ সুপার (সদর) শৌভিক পাত্রের সঙ্গে কথা বলে তাঁকে স্মারকলিপিও দেন। শৌভিকবাবু জানিয়েছেন, ওই ঘটনার খবর পেয়েই পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং ২জনকেগ্রেপ্তার করে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ওই যুবতী গণ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, বাকিদের ধরতে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});