ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমানঃ সাতসকালেই এক সিভিক ভলেন্টিয়ারের মৃতদেহ উদ্ধারকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দিল বর্ধমানের রথতলা এলাকায়। সোমবার সকালে পূর্ব বর্ধমানের কাঞ্চননগর রথতলায় ২ নম্বর জাতীয় সড়কে বাঁকা নদীর গোবিন্দ সেতুর নীচে পড়ে থাকতে দেখা যায় ওই সিভিক ভলেণ্টিয়ারের মৃতদেহ। মৃতের নাম রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ওরফে পিণ্টু ওরফে বাপি (৩৭)। বাড়ি দেওয়ান দিঘী থানার বড় কাশিয়াড়া এলাকায়। দেওয়ানদিঘী থানার সিভিক কর্মী বলে জানা গেছে। সম্প্রতি সে সি আই ডি দপ্তরে সিভিক হিসাবে কাজও করছিল বলে পরিবার সুত্রে দাবী করা হয়েছে।
তার পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সিভিক ভলেণ্টিয়ারের কাজ করার পাশাপাশি সে আলুর ব্যবসায়ীও ছিল। এমনকি বাড়িতে একটি মুদির দোকানও রয়েছে তার। আচমকাই এই খুনের ঘটনাকে ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে । পরিবার সুত্রে জানা গেছে, রবিবার দুপুরে বর্ধমানের কাঞ্চননগরে কাঞ্চন উতসবে ডিউটি আছে বলে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যায় রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। সন্ধ্যে ৬টার পর থেকে তাকে আর ফোনে পাওয়া যায়নি। এরপর সোমবার সকালে তার মৃত্যু সংবাদ আসে বাড়িতে। প্রায় ১০ বছর আগে তার বিয়ে হয়। তার দুটি মেয়েও রয়েছে। পরিবারের একমাত্র রোজগেরে ছিল সে। এই ঘটনায় গোটা পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
সোমবার এই ঘটনায় রবীন্দ্রনাথের বোন কবিতা ঘোষ বর্ধমান থানায় খুনের ঘটনার অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, এটা নিছকই কোনো দুর্ঘটনা নয়। কারণ এই ঘটনার পর রবীন্দ্রনাথ ঘোষের মোটরবাইকটিও পাওয়া যায়নি। কারা এবং কেন এই খুনের ঘটনা ঘটালো তা নিয়ে কবিতা ঘোষ কিছু বলতে না পারলেও তিনি দাবী করেছেন পরিকল্পনা করেই তাঁর দাদাকে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ।