Headlines
Loading...
বর্ধমানে কেরোসিন তেলের কালোবাজারীর বড়সড় চক্রের হদিশ, গ্রেপ্তার ৭

বর্ধমানে কেরোসিন তেলের কালোবাজারীর বড়সড় চক্রের হদিশ, গ্রেপ্তার ৭


ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক, বর্ধমানঃ বৃহস্পতিবার জেলার এনফোর্সমেণ্ট ব্রাঞ্চ ও শক্তিগড় থানার পুলিশ বর্ধমানের শক্তিগড়, বড়শুল এবং বাজেশালেপুর প্রভৃতি এলাকায় হানা দিয়ে গ্রেপ্তার করল কেরোসিন তেলের কালোবাজারীর সঙ্গে যুক্ত ৭জনকে। একইসঙ্গে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ২২০ লিটার কেরোসিন ভর্তি ২৯টি ড্রাম। যার বাজার মূল্য প্রায় ৩ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা। একই সঙ্গে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে কেরোসিন সরবরাহ ও মাপার বেশ কিছু জিনিসপত্রও।

এদিকে সাধারণ মানুষ রেশন দোকানের সামনে কেরোসিন তেলের জন্য দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়েও প্রয়োজনমত কেরোসিন পাচ্ছেন না। পেট্রোল ডিজেলের মতই কেরোসিনের দামও বৃদ্ধি পাচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, কেন্দ্র সরকার কেরোসিনের বরাদ্দ কমানোর জন্যই এই রাজ্যে কেরোসিন তেল নিয়ে সমস্যা তৈরী হয়েছে। এমনকি কেরোসিন তেল নিয়ে যখন সাধারণ মানুষ সমস্যায় সেই সময় চলতি মরশুমে জলের অভাব মেটাতে কেরোসিন তেল ব্যবহার করে পাম্প চালানোর হিড়িক পড়ে গেছে গোটা পূর্ব বর্ধমান জেলা জুড়েই। চাষের জল সরবরাহের জন্য কেরোসিনের ব্যবহার ও চাহিদা বাড়ায় কেরোসিনের কালোবাজারীর দরও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। ৪০ টাকা প্রতি লিটার কেরোসিন এখন দ্বিগুণ দামেও খোলাবাজারে পাচ্ছেন না চাষীরা। এই যখন পরিস্থিতি তখন বৃহস্পতিবার জেলা পুলিশের এনফোর্সমেণ্ট ব্রাঞ্চ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে কেরোসিন তেলের কালোবাজারীর বড়সড় চক্রের হদিশ পেল, যা পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের বড় সাফল্য বলেই দেখছেন আধিকারিকরা।


কিন্তু এই সমস্ত কিছুকেই ছাপিয়ে গেছে যখন এদিন শক্তিগড়ের একটি কালাবাজারী কারবারীর বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালাতে যায়। পুলিশ দেখে অন্যান্য বাড়িতে যেখানে জল মজুদের জন্য ছাদে ট্যাঙ্ক ব্যবহার করা হয়। সেই একই কায়দায় সাধন সামন্ত নামে কেরোসিনের ওই কালোবাজারী কারবারীর বাড়ির ছাদে রয়েছে জলের ট্যাঙ্কের বদলে কেরোসিনের ট্যাঙ্ক। সেই ট্যাঙ্ক থেকে জলের কলের মতই নিচে নেমে এসেছে কেরোসিন সরবরাহের পাইপ ও কল। এই ঘটনা দেখে এদিন চোখ কপালে উঠেছে এনফোর্সমেণ্ট ব্রাঞ্চের অফিসারদের। কেরোসিন তেলের ব্যবসার আড়ালে রীতিমত বাড়িতেই ছোটখাটো শিল্প কারখানা ফাঁদিয়ে বসেছে ওই কারবারি।

বর্ধমান জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রিয়ব্রত রায় জানিয়েছেন, এদিন কেরোসিনের কালাবাজারীর অভিযোগে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে চন্দ্রকান্ত দে,রবীন্দ্রনাথ নন্দী, লক্ষ্মীনারায়ণ মণ্ডল, সাধন সামন্ত, বিজয় মাইতি, প্রদীপ পোদ্দার, পার্থ সারাথী দেয়াঙ্গীকে। একইসঙ্গে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে কেরোসিনের এই কালোবাজারীর সঙ্গে আর কারা যুক্ত তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, শক্তিগড়ের একটি পেট্রোল পাম্প মালিক কেরোসিনের অথরাইজড ডিলার। তাঁর কাছ থেকেই এই তেল নিয়ে তা খোলাবাজারে কালোবাজারীর কারবার চালানো হচ্ছিল।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});