পিয়ালী দাস, বীরভূমঃ বিরভুম জেলার প্রায় সমস্ত হাসপাতালে অমিল কুকুর,বিড়াল বা বাঁদরের কামড়ে আক্রান্তদের জন্য টিকা। বীরভূম জেলার যেকোনো সরকারি হাসপাতালে গেলে ঠিক এই কথাটি এখন শুনতে হবে রোগী ও তার আত্মীয়দের। কারণ কোনো সরকারি হাসপাতালেই নেই এই গুরুত্বপূর্ণ টীকা। অথচ ডাক্তারি মতে কুকুর বা বিড়ালে কামড়ালে তার বারো ঘন্টার মধ্যেই নিতে হবে এই টীকা। না হলে আক্রান্তের হতে পারে জলাতঙ্কের মতো মারাত্মক রোগ। আর এই টীকা না পাওয়ার জন্য স্বাভাবিকভাবেই চরম সমস্যায় পড়েছে বীরভূমের মানুষ। এমত অবস্থায় কোথায় যাবেন কি বা করবেন কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না সাধারণ বাসিন্দারা।
আর যখন সরকারি হাসপাতালে মিলছে না টিকা, ঠিক সেই সময় বীরভূম জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডক্টর হিমাদ্রি আরী চাঞ্চল্যকর ভাবে রোগীর পরিবারকে পরামর্শ দিচ্ছেন 'কোন বেসরকারি ওষুধের দোকানে থাকলে কিনে নিন, শুধু আমাদের জেলাতেই নয় রাজ্যের কোন হাসপাতালেই পাওয়া যাচ্ছে না এই টীকা'। অথচ একটু খুঁজে দেখলেই এই ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে হাসপাতালের কাছাকাছি বেসরকারি ওষুধের দোকান থেকেই। প্রশ্ন উঠছে যেখানে সরকারি হাসপাতালে নেই এই ওষুধ, তখন বেসরকারি ওষুধের দোকানে কিভাবে রয়েছে এই ওষুধ। স্বাভাবিকভাবে বেসরকারি ওষুধের দোকান থেকে ওষুধ কেনার সামর্থ্য সকলের হচ্ছে না।ফলে সমস্যায় পরছেন রোগী ও তাঁর পরিজনেরা।
আর এই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে বীরভূমের সাঁইথিয়ার বাসিন্দা যুথিকা দলুই। গত পরশুদিন একটি পাগল কুকুরে কামড়ায় তাকে। এরপর সাঁইথিয়া হাসপাতালে গেলে তাকে ওষুধ নেই বলে সিউড়ি সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। গতকাল সিউড়ি সদর হাসপাতালে এসেও একই সমস্যার সম্মুখীন হন তিনি। সিউড়ি সদর হাসপাতালে নির্দিষ্ট বিভাগের সামনে রীতিমত পোস্টার লাগিয়ে দেওয়া হয় কুকুর, বিড়াল কামড়ানোর ইঞ্জেকশন নেই । কবে আসবে বলা যাচ্ছে না, আগামীদিনে খোঁজ নিন।
যুথিকার ছেলে দিনমজুর কোনক্রমে খেটে খাওয়া মানুষ। বেসরকারি ওষুধের দোকান থেকে ইঞ্জেকশন কিনে দেওয়ার মতো সাধ্য নেই তার। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি জলাতঙ্কের শিকার হতে হবে তাকে। সাথে সাথেই তারা প্রশ্ন তুলছে বেসরকারি ওষুধের দোকানে পাওয়া গেলেও সরকারি হাসপাতলে কেন পাওয়া যাবে না এই ওষুধ। তার কোন সদুওর অবশ্য হাসপতাল কতৃপক্ষ দিতে পারেনি।