পিয়ালী দাস, বীরভূমঃ স্বামী বিবেকানন্দ ভারতের এক উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব। অশিক্ষা, কুসংস্কার ,ধর্মীয় গোঁড়ামি থেকে মুক্তি না পেলে ভারতের যে উন্নতি হবে না, সে কথা তিনিই প্রথম উপলব্ধি করেছিলেন। তিনি সমগ্র ভারতবাসীকে নারী জাতির আদর্শ না ভোলার পরামর্শ দিয়েছিলেন। আর জীব প্রেমের মাধ্যমে ঈশ্বরের সাধনার কথা বলে জয় করেছিলেন আপামর ভারতবাসীর হৃদয়। অথচ, সেই স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তির ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছিল নাক, হাতের আঙুল ও বিসদৃশ ভাবে তুলে দেওয়া হয়েছিল মুখের গেরুয়া রঙ। মূর্তি বিকৃত করে মাথায় পাথর বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আর এই ঘটনা দেখে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী থেকে শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ সকলেই তুলে ছিলেন নিন্দার ঝড় । আর সেই খবর আমরা মানুষের কাছে তুলে ধরতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। মহঃবাজার ব্লক প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে তড়িঘড়ি সেই স্বামী বিবেকানন্দের মুর্তি সংস্কার করে পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়া হল। আর এই কাজের পুরস্কার হিসাবে স্থানীয় মানুষ সহ সকলেই ধন্যবাদ জানাচ্ছেন ব্লক প্রশাসনকে।
উল্লেখ্য,মহঃবাজার ব্লকের চরিচা গ্রাম পঞ্চায়েতের রাসপুর গ্রামে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি শেওড়াকুড়ি রুরাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটির উদ্যোগে স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে রাসপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে এই মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। মহঃবাজার এর বিডিও আশিষ মণ্ডল জানান, এই ভাবে বিবেকানন্দের মূর্তি যারা নস্ট করেছিল তারা আর যাই হোক সুস্থ মানুষ নয়। আবার মূর্তিটি সারিয়ে দিতে পেরে আনন্দিত লাগছে।