ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,নদিয়াঃ রনক্ষেত্রের চেহারা নিল নদিয়ার ভীমপুর। ঘটনার সুত্রপাত গত মাসের ২৫ তারিখ।সেই সময় পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের জন্য বিজেপির পক্ষ থেকে দাবী উঠেছিল। তারপর হই হট্টগোল আর বোমাবাজির জেরে স্থগিত করে দেওয়া হয় বোর্ড গঠন। এর কিছু দিন পর ওই এলাকা থেকে প্রায় ২১ টা সকেট বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। শনিবার ছিল সেই পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের দিন। আর একে কেন্দ্র করেই সকাল থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে নদিয়ার ভীমপুর থানার বাগবেড়িয়া গ্রাম। খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌছালে পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়ে দুস্কৃতীরা। পুলিশের পক্ষ থেকে প্রতিরোধের চেস্টা করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ কাদানে গ্যাসের সেল ফাটায়। এরপর বেশকিছুক্ষন পর পিছু হটে দুষ্কৃতিদের দল।
স্থানীয় সুত্রে খবর, পঞ্চায়েত এর সভাপতি পদ নির্বাচনের জন্য গত কয়েকদিন ধরেই এলাকায় উত্তেজনা চরছিল। চলছিল দফায় দফায় শাসক বনাম বিরোধী গোষ্ঠীর লড়াই। এদিন বোমার আঘাতে ৫ জন বিজেপি কর্মী এবং ১ জন তৃনমুল কর্মী আহত হয়। এবিষয়ে বিজেপির এক নেতা পুলক মজুমদার জানান, তাদের ছেলেরা মিটিং করছিল। সেই সময় শাসক দলের দুস্কৃতীদের তরফে বিজেপির কর্মীদের উপর বোমা ছোড়া হয় বলে অভিযোগ।
অন্যদিকে এই ঘটনায় তৃনমুলের জেলা নেতা গৌরীশংকর দত্ত জানান, এদিন বাগবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের দিন ছিল। সংখ্যাগরিষ্ঠতার বিচারে তৃনমূল ৮ টি এবং বিজেপি ৫ টি আসন পাওয়ায় বিজেপির দুষ্কৃতিরা তাদের কর্মী সমর্থকদের ওপর হামলা চালিয়েছে। বিজেপি যে অভিযোগ করেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
ঘটনার পর থেকে ওই গ্রামের অনেক মানুষ ঘর ছাড়া,থমথমে এলাকা। বিশেষ করে কাটরা,কুলতলা শুনশান। আবার বোমাবাজি হতে পারে, এই আশঙ্কায় পুলিশ রাস্তায় রাস্তায় টহল দিচ্ছে।