Headlines
Loading...
ক্লাস চলাকালীন সিলিঙের চাঙড় ভেঙ্গে বর্ধমান হাসপাতালের ৪ জুনিয়র ডাক্তার আহত

ক্লাস চলাকালীন সিলিঙের চাঙড় ভেঙ্গে বর্ধমান হাসপাতালের ৪ জুনিয়র ডাক্তার আহত



ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমানঃ বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউ বিল্ডিংয়ে পিজিটি মেডিসিনের দ্বিতীয় বর্ষের ৩০ জন ছাত্রছাত্রীকে নিয়ে 'ক্লিনিক্যাল' ক্লাস চলাকালীন আচমকই খসে পড়ল ছাদের চাঙড়। আর এই ঘটনায় জখম হলেন ৪জন জুনিয়র ডাক্তার। তাদের মধ্যে ডাঃ সাত্যকি রায় এবং ডাঃ সঞ্জয় সেনের আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাদের সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে ভর্তি করা হয়। পরে তাদের অবজারভেশন ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আপাতত তাঁরা সুস্থ এবং বিপদমুক্ত রয়েছেন। এদিকে আচমকা এই ঘটনায় হাসপাতাল জুড়ে রীতিমত আলোড়ন সৃষ্টি হয়। ঘটনার পর হাসপাতালের অন্যান্য কর্তব্যরত জুনিয়র ডাক্তাররা নিজেদের কাজ ছেড়ে বেড়িয়ে আসেন। এই ঘটনার প্রতিবাদে তাঁরা কর্ম বিরতিতে যাবারও প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু খবর পেয়ে তাঁদের ডেকে পাঠান হাসপাতাল সুপার ডা. উৎপল দাঁ। উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের ডেপুটি সুপার ডা. অমিতাভ সাহাও। উভয়পক্ষের মধ্যে আলোচনার পর জুনিয়র ডাক্তাররা কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেন। 

হাসপাতাল সুপার জানিয়েছেন, এদিনের ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। নামেই নিউ বিল্ডিং হলেও বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এই বিল্ডিংয়ের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। এব্যাপারে বহুবার রাজ্য স্বাস্থ্যভবনকে তাঁরা চিঠি লিখে জানিয়েছেন। চলতি বছরেই ২৪ এপ্রিল, ১৮ জুন এবং গত ৯ আগষ্ট তাঁরা স্বাস্থ্যভবনের কাছে এই ভবনের বিষয়ে চিঠি দেন। কিন্তু সেখান থেকে জানানো হয়েছে তাঁদের প্রথম দুটি চিঠি সেখানে পাওয়া যাচ্ছে না। তাই তৃতীয় চিঠি নিয়ে ফের আলোচনা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে ওই ভবনের বিভিন্ন ঘর বারান্দাকে দ্রুত মেরামত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে হাসপাতালের পূর্ত বিভাগকে। 


হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ভাতার থানার আটাশপুরের বাসিন্দা নুরমান আলিকে বুকের সমস্যা নিয়ে গত বৃহস্পতিবার ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। তাঁর চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয় নিয়েই এদিন নিউ বিল্ডিংয়ের সেমিনার হলে ওই রোগী এবং তাঁর ছেলে জাকির হোসেনের উপস্থিতিতে আলোচনা চলছিল। সেই সময় আচমকাই ছাদের একটি বড় চাঙড় খসে পড়ে প্রথমে সিলিং ফ্যানে। সেখান থেকে তা ছিটকে আসে ৪জন জুনিয়র ডাক্তারের গায়ে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});